উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে গেছেন সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদ। আর সফরকে ভালোভাবে দেখেনি আমেরিকা। আর এই সফরের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বিশ্বখ্যাত বার্তা সংস্থা এএফপিকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন,দৃশ্যত বাশার আল-আসাদকে বৈধতা দেওয়ার এই প্রচেষ্টায় আমরা গভীরভাবে হতাশ এবং মর্মাহত।
আমেরিকা এবং তার মিত্ররা গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদকে একঘরে করে রাখার জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসা সত্ত্বেও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন বাশার আল-আসাদ। -খবর-পার্সটুডে
গত ১৮ মার্চ শুক্রবার বাশার আল-আসাদ এর এই আকস্মিক সফরে পশ্চিমা দেশগুলো যে হতভম্ব হয়ে গেছে তা নেড প্রাইসের বক্তব্যে ফুঠে উঠেছে।
নেড প্রাইস ঐ বিবৃতিতে আরো জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন যেমনটি বলেছেন, আমরা বাশার আল-আসাদকে পুনর্বাসনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি না ও তার সঙ্গে অন্যদের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণেরও বিরোধিতা করি।
গত শুক্রবারের একদিনের সফরে সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাশার আল আসাদ আবুধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মাদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ও দেশটির ভাইস প্রেসিডেট, প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাই শাসক শেখ মোহাম্মাদ বিন রাশিদ আল-মাকতুমের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
ঐ সাক্ষাতে জায়েদ আল নাহিয়ান সিরিয়াকে ‘আরব বিশ্বের নিরাপত্তার একটি মৌলিক ভিত্তি’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি সিরিয়া ও আমিরাতের নাগরিকদের ভ্রাতৃপ্রতীম সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চায়।
এছাড়াও দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ আল-মাকতুম বলেন, প্রেসিডেন্ট আসাদের এ সফর সিরিয়াসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে বলে আশা করছেন তিনি।
সিরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের বড় ধরনের টানাপোড়ন চলছে। বিশেষ করে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদকে দেশটির ক্ষমতা থেকে সরাতে এখনো তৎপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র: দ্যা হিল