আজ জিতলেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইতিহাস গড়ত বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো দেশটিতে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেত টাইগাররা। এমন সমীকরণ নিয়ে খেলতে নেমেছিল তামিমের দল। কিন্তু দিন শেষে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হচ্ছে টাইগারদের।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে চাঙ্গা ভাব খুব একটা পাওয়া যায়নি। মাহমুদউল্লাহ-আফিফের জুটির পর আফিফের সঙ্গে মিরাজের জুটিই বাংলাদেশের ইনিংসের বড় প্রাপ্তি। সহজেই ১৯৫ রান তাড়া করে জিতেছে প্রোটিয়ারা। রাবাদার ৫ উইকেটের পর ভেরেন্নে ও ডি ককের অর্ধশতকে হেসেখেলেই জয় তুলে নিয়েছে বাভুমার দল।
মাহমুদউল্লাহকে জায়গা বানিয়ে এক্সট্রা কাভার দিয়ে নিজের প্রথম চারটি মারলেন রাসি ফন ডার ডুসেন। সেঞ্চুরিয়নে শেষ করে আসতে পারেননি, জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় নিশ্চিত হলো তার ব্যাটেই। ৭৬ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটের বড় জয়ে ৩ ম্যাচ সিরিজে সমতা ফেরাল দক্ষিণ আফ্রিকা।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন ইয়ানেমান মালান ও কুইন্টন ডি কক। ৪০ বলে ২৬ রান করা মালানকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের প্রথম উদযাপনের উপলক্ষ এনে দেন মিরাজ। উদ্বোধনী জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা পায় ৮৬ রান।
একাদশ ওভারের মধ্যে দুটি রিভিউ হারায় বাংলাদেশ। ঝড়ের বেগে ব্যাটিং করে মাত্র ২৬ বলেই তুলে নেন অর্ধশতক। ১১তম ওভারের শেষ বলে ডি ককের ক্যাচ ছাড়েন উইকেটের পেছনে থাকা মুশফিক। জীবন পাওয়া ডি কক থামেন ৬১ রানে। তার ৪২ বলের ঝড়ো ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে সাকিব আল হাসানের বলে আফিফের তালুবন্দী হয়ে।
দলকে জয়ের প্রান্তে রেখে আউট হন টেম্বা বাভুমা। প্রোটিয়া অধিনায়ককে শিকার করেন আফিফ। বাভুমার ব্যাট থেকে আসে ৫২ বলে ৩৭ রান। অপরদিকে, ৬২ বলে অর্ধশতক হাঁকান কাইল ভেরেইন্নে। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় নিশ্চিত করেন র্যাসি ফন ডার ডুসেন।
বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব ১০ ওভারে দুইটি মেডেন ওভারসহ ৩৩ রান খরচ করে শিকার করেন একটি উইকেট। মিরাজ ৫৬ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট নেন।