মেহেদি হাসান মিরাজের পর দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে সাকিব আল হাসানের আঘাত। মিরাজের বলে পরিস্কার বোল্ড হয়ে ফেরেন প্রোটিয়া ওপেনার জানেমান মালান। আর সাকিবের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে আফিফ হোসেনের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হন কুইন্টন ডি কক।
কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮৬ রান সংগ্রহ করা দক্ষিণ আফ্রিকা এরপর মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে হারায় ২ ওপেনারের উইকেট। ৪০ বলে ২৬ রানে ফেরেন মালান।
টাইগার বোলারদের শাসিয়ে মাত্র ২৬ বলেই ফিফটি তুলে নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক ডি কক ফেরেন ৪১ বলে ৯টি চার আর দুই ছক্কায় ৬২ রান করে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৯ ওভারের খেলা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান। ১৫ ও ৪ রানে ব্যাট করছেন কাইল ভারানি ও টিম্বা বাভুমা।
রোববার জোহানেসবার্গে সিরিজ জয়ের স্বপ্নে ব্যাটিং নেমে ৩৪ রানে টপঅর্ডার ৫ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে টাইগাররা।
দলের এমন কঠিন পরিস্থিতে হাল ধরার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন। ষষ্ঠ উইকেটে তারা ৬০ রানের জুটি গড়েন।
এরপর মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে ৮৬ রানের জুটি গড়েন আফিফ হোসেন। তার ব্যাটেই সম্মানজনক একটা স্কোর গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু কাগিসো রাবাদার করা ৪৬তম ওভারে সেই স্বপ্ন ভেস্তে যায়।
সেই ওভারের তৃতীয় ও পঞ্চম বলে আফিফ ও মিরাজকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন রাবাদা। তিন বলের ব্যবধানে দুই উইকেট পতনের পর তাসকিন, শরিফুল ও মোস্তাফিজরা শেষ দিকে স্কোর বোর্ডে প্রত্যাশিত রান জমা করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানে ইনিংস গুটায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দলের হয়ে ১০৭ বল মোকাবেলা করে ৯টি বাউন্ডারির সাহায্যে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন আফিফ হোসেন। ৪৯ বলে এক চার আর দুই ছক্কায় ৩৮ রান করেন মিরাজ। ৪৪ বলে ২৫ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।
এছাড়া ১৫ ও ১১ রান করে করেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। অধিনায়ক তামিম ইকবাল, সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, ইয়াসির আলী, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমানরা দুই অঙ্কের ফিগার রান করতে পারেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ১৯৪/৯ রান (আফিফ ৭২, মিরাজ ৩৮, মাহমুদউল্লাহ ২৫, লিটন ১৫, মুশফিক ১১; কাগিসো রাবাদা ৫/৩৯)।