প্রবল অর্থনৈতিক চাপে থাকা রাশিয়া বিদেশি ঋণদাতাদের সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণে একটি অস্থায়ী বিশেষ অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। গতকাল শুক্রবার এ–সংক্রান্ত একটি আদেশে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। খবর আরটি।
নতুন এই নিয়মে বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেনে নিয়ন্ত্রণ আনতে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। ফলে এখন থেকে যেকোনো বিদেশি কোম্পানি ও ব্যক্তির কাছে অর্থ লেনদেনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেঁধে দিতে পারবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি নতুন আদেশে রাশিয়ার ব্যাংকগুলোকে চলতি বছর শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া বিদেশিদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন না করতে বলেছেন পুতিন।
এই আদেশের ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ প্রদানের বিষয়টিও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে চলে এসেছে। অর্থাৎ অনুমতি ছাড়া লাভের টাকা দেওয়া যাবে না বিদেশি বিনিয়োগকারীদের। রাশিয়ার ব্যাংকগুলোকে অনুমতি সাপেক্ষে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের অনুমতি দেওয়া হয়েছে এই আদেশে। কিন্তু তা দিতে হবে সরকারের নির্ধারিত বিনিময় হারে ও রুবলের মাধ্যমে।
ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পরপরই বৈদেশিক মুদ্রার পাচার ঠেকাতে রাশিয়ার রপ্তানিকারকদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছিল দেশটি। এতে রপ্তানিকারকদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার ৮০ শতাংশ সরকারের কাছে বিক্রি করে দিতে আদেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে মূলধন বাইরে যাওয়া ঠেকাতে সব মুদ্রা রুবলে রূপান্তরের নির্দেশ দেয় দেশটি।
নতুন আদেশে এই নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। বলা হয়েছে, রপ্তানিকারকেরা যদি রুশ ব্যাংকগুলোর কাছে তাদের ঋণ পরিশোধ করে, তাহলে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সেই অংশ (৮০ শতাংশ) আর বিক্রি করতে হবে না। এর পাশাপাশি গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে গৃহীত অন্যান্য বিধিনিষেধ সম্পর্কেও পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে নতুন এই আদেশে।