বিশ্বব্যাপী করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ হ্রাস পাওয়ায় ফ্লাইট শুরুর ছয় ঘণ্টা পূর্বে বাংলাদেশের এয়ারপোর্টগুলোতে কোভিড-১৯ এর বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করেছে উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্য নগরী দুবাই। তবে বাংলাদেশিদের দুবাই যেতে নতুন করে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) এর পাঠানো এক পত্রে দুবাই জানায়, বাংলাদেশি যাত্রীদের দুবাই যাওয়ার আগেই হোটেল বুকিং করতে হবে। এটা ছাড়াও ফ্লাইট শুরুর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ এর আরটি পিসিআর পরীক্ষা করে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিতে হবে।
এয়ারপোর্টে উপস্থিত হওয়ার সময় মোট ৮ কপি সার্টিফিকেট সাথে রাখতে হবে। দুবাই পৌঁছে এয়ারপোর্টে যাত্রীদের বিনামূল্যে আরেকবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে।
সেই পরীক্ষার রিপোর্ট দেয়া হবে নমুনা নেয়ার পরদিন বিকেলে (হোটেলে কিংবা মোবাইল নম্বরে)। রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত যাত্রীকে দুবাইয়ের হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
করোনা টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে তিনি হোটেল থেকে বের হতে পারবেন। কোনো যাত্রীর যদি কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে তাকে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ২২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে তারা।
নতুন ট্রাভেল বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, প্রত্যেক যাত্রীকে ফ্লাইট ছাড়ার পূর্বে তাদের স্মার্ট ফোনে ‘COVID 19 DXB’ অ্যাপ ডাউনলোড করে হেলথ ডিক্ল্যারেশন ফরম ফিল আপ করতে হবে। যাত্রার সময় পূরণ করা ফরম প্রিন্ট করে নিয়ে যেতে হবে। যাত্রীদের হেলথ ইনস্যুরেন্স নিতে হবে।
এছাড়াও দশ বছরের নিচের শিশু ও শারীরিকভাবে অ’ক্ষ’ম ব্যক্তিরা করোনার আরটি পিসিআর পরীক্ষা ছাড়াই দুবাই প্রবেশ করতে পারবে। দুবাই কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে যেসব বৈধ গৃহকর্মী দুবাই যাবেন তাদের সাথে তাদের স্পন্সর কিংবা স্পন্সরের মনোনীত ব্যক্তিকে ফ্লাইটে থাকতে হবে।