লিঙ্গপরিচয় নিয়ে বিতর্ক, আইনি ব্যবস্থা নেবেন ফরাসি প্রেসিডেন্টের স্ত্রী

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ একজন রূপান্তরিত নারী এবং তিনি পুরুষ হয়ে জন্মেছিলেন—এমন দাবি অনলাইনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এমন ‘ইন্টারনেট ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গুজব ছড়ানো হয়েছে—ফরাসি প্রেসিডেন্টের স্ত্রী ছেলে হিসেবে জন্ম নেন এবং তাঁর নাম ছিল জ্যাঁ-মিশেল ট্রগনিউক্স। গত সেপ্টেম্বরে ডানপন্থি কিছু ওয়েবসাইটে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। সম্প্রতি এ নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানো হচ্ছে। জ্যাঁ-মিশেল ট্রগনিউক্স নামটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাখ লাখ মেনশন দেখাচ্ছে।

ফরাসি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে—২০২২ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ৬৮ বছর বয়সি ব্রিজিত ম্যাক্রোঁর স্বামী ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বিরোধিতাকারীরাই মূলত অনলাইনে এসব ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। যদিও দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচনে লড়বেন কি না, তা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানাননি এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি এবারের ভোটেও দাঁড়াবেন।

ব্রিজিত ম্যাক্রোঁর আইনজীবী বিবিসিকে নিশ্চিত করেছেন যে, এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আইনজীবী জ্যাঁ ইন্নুচি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘তিনি (ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ) আইনি প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এ নিয়ে কাজ চলছে।’