পাকিস্তানেও শনাক্ত ওমিক্রন রোগী

উপমহাদেশের দুই দেশ ভারত ও বাংলাদেশের পর এবার পাকিস্তানেও করোনাভাইরাসের রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত শহর করাচিতে এই রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সরকার।

করোনা প্রতিরোধে পাকিস্তান সরকারের গঠিত টাস্কফোর্স ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টারের পক্ষ থেকে (এনসিওসি) সোমবার এক টু্ইট বার্তায় এ সম্পর্কে বলা হয়, ‘ইসলামাবাদের ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউট আমাদের নিশ্চিত করেছে যে সম্প্রতি করাচিতে ওমিক্রনে আক্রান্ত এক রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।’
‘এটি পাকিস্তানে প্রথম ওমিক্রন শনাক্তের ঘটনা। ওই রোগী ব্যাতীত আরও কোনো রোগী এই ধরনে আক্রান্ত হলো কি না সে বিষয়ে এনসিওসি তৎপরতা চালাচ্ছে।’

সম্প্রতি কয়েকজন আক্রান্ত হওয়ার পর গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ববাসীকে প্রথম করোনার রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনের তথ্য দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। অবশ্য এক গবেষণায় জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ধরনটির ব্যাপারে বিশ্বকে জানানোর ৫ দিন আগে, নেদারল্যান্ডসে এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ৬৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে সার্স-কোভ-২ বা করোনাভাইরাসের রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রন। উপমাদেশের দুই দেশ ভারত ও বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী। ভারতের অন্তত ৫ রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।

পাকিস্তানে অবশ্য করোনা খুব বেশি বিপর্যয় ঘটাতে পারেনি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত পাকিস্তানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১২ লাখ ৮৯ হাজার ৪৯ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ২৮ হাজার ৮৩০ জনের।

তবে ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে পাকিস্তানে জনসংখ্যার অনুপাতে করোনা টেস্ট হয়েছে বেশ কম। একই কারণে দেশটির টিকাদান কর্মসূচিও চলছে ধীরগতিতে।