যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোয় মৃত্যু শত ছাড়াচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যে শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে নিহতের সংখ্যা শত ছাড়াতে যাচ্ছে। বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি ও কারখানা ভবনে আটকেপড়াদের জীবিত ফিরে পাওয়ার আশা ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

কেন্টাকি’র গভর্নর অ্যান্ডি বেসির বলেছেন, ‘অঙ্গরাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ টর্নেডো এটি। এ পর্যন্ত অন্তত ৮০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।’

গভর্নর অ্যান্ডি বেসির বলেন, ‘টর্নেডোর লাইনে পড়া কোনোকিছুই সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে নেই। উদ্ধারকাজ চলমান রয়েছে। যদি অলৌকিকভাবে কাউকে পাওয়া যায়।’

তবে, স্থানীয় সময় শনিবার সকালের পর থেকে কাউকেই জীবিত উদ্ধার করা যায়নি।

শুক্রবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের আরাকানসাস, ইলিনয়, ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকি, মিসৌরি, মিসিসিপি, ওহাইও ও টেনেসি অঙ্গরাজ্যে অন্তত ৫০টি টর্নেডোর ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল কেন্টাকিতে আঘাত হানা টর্নেডোটি। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, কেন্টাকির মেফিল্ডসহ যেসব এলাকার ওপর দিয়ে টর্নেডো গেছে গোটা এলাকা ধুলায় মিশে গেছে।

কেন্টাকির মেফিল্ড শহরে একটি মোমবাতির কারখানায় টর্নেডো আঘাত হানার সময় ১১০ জন কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে আট জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কারখানাটির ধ্বংসস্তুপে এখনও আট জন নিখোঁজ রয়েছেন।

কেন্টাকিতে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটলেও টেনেসি অঙ্গরাজ্যে চার জন, আরাকানসাসে দুজন এবং মিসৌরিতে এক জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং দলমত নির্বিশেষে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘উদ্ধারকাজে ও পুনর্বাসনে যা যা করা সম্ভব, সবই করা হবে।’

এ ছাড়া একযোগে এতগুলো টর্নেডোর ঘটনার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে দেশটির জাতীয় পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

কেন্টাকি’র মেয়র অ্যান্ডি বেসির জানিয়েছেন, ৩৬৫ কিলোমিটারব্যাপী এ টর্নেডোটিই যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ টর্নেডো। এর আগে ১৯২৫ সালের মার্চে মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে ৩৫২ কিলোমিটার দীর্ঘ টর্নেডো হয়েছিল।