সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

উপসাগরীয় দেশটির ডি ফ্যাক্টো শাসকের সঙ্গে দেখা করতে তিনি এ সফর করবেন। এটা হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইসরায়েলি কোনো প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সফর। রোববার (১২ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, বেনেট উচ্চ পর্যায়ের এক সরকারি সফরের অংশ হিসেবে আমিরাতের উদ্দেশে রোববার দেশ ত্যাগ করবেন। এ সময় তিনি ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের সঙ্গে দেখা করবেন।

বেনেটের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করা বিশেষ করে অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক সমস্যাগুলো নিয়ে বেনেট আলোচনা করবেন।

তবে এ ব্যাপারে আমিরাতের পক্ষ থেকে এখনো স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি। একটি চুক্তির মাধ্যমে গত বছর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়। ওই চুক্তিতে পৌঁছাতে সাহায্য করে যুক্তরাষ্ট্র।

অন্যদিকে কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় ইরানের সঙ্গে ফের পরমাণু আলোচনা শুরু হয়েছে। বৈঠকে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি ও চীনের প্রতিনিধিরা আছেন। মধ্যস্থতা করছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি এনরিক মোরা। পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানের সঙ্গে যখন পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা চলছে তখনই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে সফরে যাচ্ছেন।

পরমাণু ইস্যুতে ইরানের সঙ্গে বৈঠক শুরু হওয়ার আগে থেকেই ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্যদের চুক্তি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ইরান শুধু পরমাণু অ;স্ত্র তৈরির চেষ্টা চালাতে পারবে না। তবে আন্তর্জাতিক নজরদারির মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি চালু রাখার অধিকার সে দেশের রয়েছে। অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন ও চিকিৎসার মতো ক্ষেত্রে পরমাণু শক্তি কাজে লাগানো যেতে পারে।

কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, তার পক্ষে ওই চুক্তিতে থাকা অসম্ভব। ইরানের বিরুদ্ধে এরপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন তিনি। ইরানও এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়। অচল হয়ে পড়ে পরমাণু চুক্তিটি। তবে সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে পরমাণু ইস্যুতে ফের বৈঠক শুরু করে পাঁচ জাতিগোষ্ঠী।