ঠাকুরগাঁওয়ের দুই উপজেলা বালিয়াডাঙ্গী ও পীরগঞ্জে তৃতীয় দফায় অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২৮ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আর এ নির্বাচনে টেলিনা সরকার হিমু প্রথম মহিলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ।এটি ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রথমবারের মতো তিনি আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতিক নিয়ে জয়লাভ করেন। একই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে তার বিপরীতে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন তার আপন মামা শ্বশুড় সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী চৌধুরী। শ্বশুড়-বউমা ছাড়াও ঐ ইউনিয়নে চেয়াম্যান পদে আরো ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জানা যায়, পীরগঞ্জ উপজেলার ১১নং বৈরচুনা থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন টেলিনা সরকার হিমু। এ নির্বাচনে তিনি আপন মামা শ্বশুর সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী চৌধুরীকে হারিয়ে জেলার প্রথম মহিলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। শুধু ঠাকুরগাঁওয়ে নয়, বরং পুরো রংপুর বিভাগের প্রথম আ’লীগ মনোনিত মহিলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বিষয়টি এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে।
শ্বশুড়-বউমা প্রার্থী হওয়াটাকে আনন্দ ভরেই গ্রহণ করেছিলেন ইউনিয়নের ভোটাররা। টেলিনা সরকার হিমুর স্বামী নুরে আলম সিদ্দিকী দুলাল উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়ে অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারী দুলালের অকাল মৃত্যু হয় ।
তাই এবার চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের মনোনীত প্রার্থী করেছেন প্রয়াত নেতা দুলালের স্ত্রী হিমু সরকারকে। হিমু আ’লীগের প্রার্থী হওয়ায় স্থানীয় আ’লীগ ছাড়াও দলের উপজেলা এবং জেলার নেতারা অংশ নিয়েছেন তার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায়। নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান টেলিনা সরকার হিমু বলেন, জনগণ আমাকে নির্বাচিত করেছে। ইনশাআল্লাহ আমি জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থাকব। আমি বিশ্বাস করি এই বিজয়ে নারীরা আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে ও আমার দল শক্তিশালী হবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী দৌপ্রদী আগারওয়ালা বলেন, প্রথমে আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। যিনি নারীদের সর্বক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেন। তিনি চান নারীরাও দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসুক। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি টেলিনা সরকার হিমুকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন এবং আমরা বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেছি। আমি মনে করি এ বিজয় আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করবে।