নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ইউপি নির্বাচনে দুইটি ইউনিয়নের ছয়টি ভোট কেন্দ্রের ভোটগ্রহন স্থগিত করা হয়েছে। ব্যালট পেপার ছিনতাই, কেন্দ্র দখলের চেষ্টা ও প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় রবিবার দুপুরে ওই ছয় ভোট কেন্দ্রের ভোট গ্রহন স্থগিত করা হয়।
কেন্দ্র ছয়টি হলো বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ভিটা এইউ সিনিয়র মাদ্রাসা ও বড়ভিটা স্কুল এণ্ড কলেজ কেন্দ্র এবং মাগুড়া ইউনিয়নের পারের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিংগেরগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, খিলালগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সিংগেরগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর একটার দিকে বড়ভিটা ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্রের বাইরে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বেনজির আহমেদ ও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল কাইয়ুম আজাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে ভোটাররা শঙ্কিত হয়ে ভোট কেন্দ্র ছেড়ে চলে যায়। এঘটনায় বড়ভিটা এইউ সিনিয়র মাদ্রাসা ও বড়ভিটা স্কুল এণ্ড কলেজ কেন্দ্রের ভোটগ্রহন স্থগিত হয়।
অপরদিকে মাগুড়া ইউনিয়নে সদস্য পদে প্রতিন্দন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার ও ব্যালট ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় পারের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিংগেরগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, খিলালগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সিংগেরগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহন স্থগিত হয়। এসময় বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হামলায় অন্তত পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন ওই ছয়টি ভোট কেন্দ্রের ভোট গ্রহন স্থগিতের সত্যতা স্বীকার করে বলেন,‘এসব কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুকুলে না থাকায় ভোটগ্রহন স্থগিত করা হয়েছে।’
উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে ২৮ নভেম্বর রবিবার আটটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই দুটি ইউনিয়ন বাদে বাকী ছয়টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহন সম্পন্ন হয়েছে।