রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ক্ষমা নিয়ে খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। আজ আজ শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বিশ্ব সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও হলি আর্টিজান- মুম্বাই হামলা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। হানিফ বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি ও স্টান্টবাজি করছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যে একজন দণ্ডিত আসামি বিএনপি তা ভুলে গেছে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দেশের বাইরে যেতে পারেন না। তবে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাইলে তিনি ক্ষমা করে দিতেও পারেন। কিন্তু সেটি না করে বিএনপি নিজেই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি ও স্টান্টবাজি করছে। খালেদা জিয়ার সুস্থতার চেয়ে তাদের কাছে রাজনীতি বড়। সে জন্য খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা বিএনপিই।
হানিফ বলেন, তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী সত্য। কিন্তু বিএনপি ভুলে গেছে খালেদা জিয়া একজন দণ্ডিত আসামি। তার পরও জননেত্রী শেখ হাসিনা মহানুভবতা দেখিয়ে তাকে বাড়িতে অবস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। এর আগে জেলে থাকার সময় ব্যক্তিগত সহকারীকে (একজন নারী) রাখার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। হানিফ বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়েই দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল। আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়েই মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। মহান স্বাধীনতার ওপর আঘাত মুক্তিযুদ্ধের পরেই আনা হয়। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়েই এর চূড়ান্ত রূপ পায়। পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসে, সেই অপশক্তিকেই তারা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সাহস দিয়েছিল।জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে পাকিস্তানের দোসরদের গাড়িতে তারা বাংলাদেশের পতাকা তুলে দিয়েছিল।