চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে অন্তত আরো ১১ জন বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হতে চলেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে কমপক্ষে ১১টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ছাড়া আর কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি। এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিনা ভোটের জনপ্রতিনিধি হওয়ার ঘটনা বাড়ছে। নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, চতুর্থ ধাপে ৮৪৮ ইউপির নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৯ নভেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামী ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনটি পার হওয়ার পরই জানা যাবে এ ধাপে কতজন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার যেসব ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থীর তথ্য পাওয়া গেছে, সেগুলো হলো নাটোরের সিংড়া উপজেলার শেলকোল ইউপিতে লুত্ফুল হাবিব রুবেল, রাজবাড়ীর সদর উপজেলার বাণিবহ ইউপিতে শেফালী আক্তার, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার আমতলী ইউপিতে রাফেজা বেগম, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মেদিনীমণ্ডল ইউপিতে মো. আশরাফ হোসেন, বরিশালের উজিরপুরের বামরাইল ইউপিতে ইউসুফ আলী হাওলাদার, খাগড়াছড়ির মহালছড়ির ক্যাংঘাট ইউপিতে রুপেন্দু দেওয়ান, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ফতেপুরে আবু তালেব মোল্লা, ধুপতারায় নাজমুল হক, মাহমুদপুরে আমানুল্লাহ এবং ব্রাহ্মণদিতে লাক মিয়া; সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের ঝাঐল ইউপিতে আলতাফ হোসেন ঠাণ্ডু।
তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে বিনা ভোটের চেয়ারম্যান পাচ্ছে ১০০ ইউপি। প্রার্থীরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের। গত ১১ নভেম্বর এ নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় জানায়, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে অনেক প্রার্থী সরে দাঁড়ানোয় চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা বাড়ে। এর আগে প্রথম ধাপে ৭২ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে ৮১ জন একক প্রার্থী হিসেবে ভোট ছাড়াই চেয়ারম্যান হয়েছেন। সব মিলেয়ে এবারের ইউপি নির্বাচনের প্রথম তিন ধাপেই চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নতুন রেকর্ড তৈরি হয়ে গেছে। এখনো বাকি রয়েছে কমপক্ষে দুটি ধাপ।