আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলছেন, বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বললেও বিএনপি পদক্ষেপ নেয় না। তিনি বলেন, বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনতে আমরা বলেছি। কিন্তু তারা সেটা নিয়ে চিন্তা করছে না। কোনও পদক্ষেপও নিচ্ছে না। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ তার বক্তব্যে বলেন, আমি একাধিকবার সংসদ নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। আমি বলেছি, আজকে ওনার (খালেদা জিয়া) শারীরিক যে অবস্থা বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার অনুমতি দিতে অসুবিধা কোথায়? আপনি তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিন। এতে সম্মানিত হবেন। দেশের মানুষ আপনাকে সম্মান করবে। তার (খালেদা জিয়া) যে বয়স, তার যে অবস্থা এই অবস্থায় এটা বিবেচনা করা উচিত।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সবাই বলে তাদের নেত্রীকে এখনই বিদেশে পাঠাতে হবে। আর ওনার চিকিৎসা করাতে হবে বিদেশে। আমাদের দেশের চিকিৎসা খুব খারাপ। বিএনপি নেতা খালেদা জিয়া তিন তিনবার হাসপাতালে গেছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আমরা বলেছি বিদেশ থেকে যদি ডাক্তার আনতে হয়, আনেন। সেই লাইনে কোনো দিন হাঁটবে না। সে কথা চিন্তাও করবে না। সে বিষয়ে পদক্ষেপও নেবে না। শুধু বলবে বিদেশ পাঠিয়ে দিতে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ সাহেব বলেছেন, বাঙালি খালি বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ছুটে যায়। ওনারা তো ২৬ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। আমি বলবো সেবা করেন নাই, শাসন করেছেন। ওনারা কী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তৈরি করেছেন? মানুষ বিদেশে গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নেবে না কেন? আইনমন্ত্রী বলেন, এখনো বাংলার গরিব জনগণ চায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের চিকিৎসা হোক। কারণ তারা বলে সেখানে চিকিৎসা পায়। কম খরচে ও বিনা পয়সায় চিকিৎসা পায়। ওনারা তো (বিএনপি) দেখেন খালি পশ্চিম দিক। ওই জায়গার মধ্যে ওনারা ন্যস্ত। সেটা থেকে বের হতে পারছেন না।
এর আগে এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। পরে করোনা পরবর্তী জটিলতায় ২৭ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হন। সে সময় এক মাসের বেশি সময় হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ১৯ জুন বাসায় ফেরেন। পরে করোনার টিকা নিতে তিনি দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান।