ইতালির পথে নৌকাডুবিতে ৭৫ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু

লিবিয়া উপকূল থেকে ইতালির উদ্দেশে যাত্রাকরা নৌকা-ডুবে ৭৫ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে আরও ১৫ জনকে। শনিবার (২০ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এমন তথ্য দিয়েছে।

এতে বলা হয়, গেল সপ্তাহের শেষদিকে লিবীয় উপকূলে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে অনুপ্রবেশের সময় সাগরে নৌকা-ডুবে এই প্রাণহানি ঘটেছে। যাদের উদ্ধার করা হয়েছে, তাদেরকে লিবিয়ার জুওয়ারা বন্দরে নেওয়া হয়েছে। সাগরের মৎস্যজীবীরা তাদের উদ্ধার করেছেন।

শনিবার ভূমধ্যসাগর থেকে কয়েক ডজন শিশুসহ ৪২০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে ইতালির কোস্টগার্ড। এক বিবৃতিতে দেশটির উপকূলরক্ষীরা বলছেন, সিসিলির দক্ষিণাঞ্চলের ছোট্ট দ্বীপ লাম্পাডুসায় মোটরবোটে ৭০ জনকে নিরাপদে আনা হয়েছে।

এছাড়াও একটি ভিন্ন উপকূলরক্ষী জাহাজ এদিন সন্ধ্যায় সিসিলি উপকূল থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে ভূমধ্যসাগরের একটি মাছ ধরার নৌকা থেকে ৩৫০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। যাদের মধ্যে ৮০টি শিশু রয়েছে।

গত সপ্তাহজুড়ে ভূমধ্যসাগর এলাকায় চলা বৈরী আবহাওয়ায় সিসিলিতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।

এরইমধ্যে উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ—বিশেষ করে লিবিয়া ও তিউনিসিয়া উপকূল থেকে উন্নত জীবনের প্রত্যাশায় ইতালি ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাতে থেমে নেই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যাত্রা।

এতে নৌকাডুবিতে সাগরে সলিল-সমাধি ঘটছে ইউরোপে অনুপ্রবেশচেষ্টাকারীদের। সবশেষ মৃত্যু ৭৫ জনের পরিচয় বা তাদের মধ্যে বাংলাদেশি কেউ আছে কি না; সে তথ্য জানাতে পারেনি আইওএম।

কেবল চলতি বছরে এ পর্যন্ত ইতালি ও মাল্টা উপকূলের ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে এক হাজার ৩০০ জনেরও বেশি নারী-পুরুষ ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশিও রয়েছেন।