বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বহিষ্কার হওয়ার পর গণমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত। প্রিয় সংগঠন আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত। দলীয় প্রধান ও দল যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, সেটা আমি মাথা পেতে নিয়েছি। আমার অস্থিমজ্জা জুড়েই আওয়ামী লীগ।
মেয়র জাহাঙ্গীর বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে স্কুলজীবন থেকেই ছাত্রলীগ করতে শুরু করি। যাপিত জীবনের পুরোটাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। আমার অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করেছিলেন। মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে তিনিই মনোনয়ন দিয়েছিলেন আমাকে। আমি আমার দায়িত্ব পালনে কোনো ফাঁকি দিইনি।
তিনি আরও বলেন, মেয়র নির্বাচিত হয়ে গাজীপুর সিটিকে একটি আধুনিক নগর গড়ে তোলার জন্য কাজ শুরু করি। আর তখনই একটি প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। আমি কোনো অন্যায় করিনি, অন্যায়কে প্রশ্রয় দিইনি। যেহেতু পার্টি আমার গার্ডিয়ান, নেত্রী আমার গার্ডিয়ান, তারা যেটা ভালো মনে করেছেন, সেটা করেছেন।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয় জাহাঙ্গীর আলমকে। শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক থেকে জাহাঙ্গীরকে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।