এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এজন্য তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেয়া হয়েছে। সেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা চলছে তার। রোববার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় মেডিকেল বোর্ড। এই পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল।
একই হাসপাতালে ২৬ দিন চিকিৎসা শেষে গত ৭ নভেম্বর বাসায় ফিরেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পাঁচ দিনের ব্যবধানে ফের হাসপাতালে আসতে হয়েছে। হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা চলছে তার।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) হাসপাতালে ভর্তির পর রোববার বিকেলে বসে মেডিকেল বোর্ড। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বমি ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না আসায় সিসিইউতে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘তিনি এভারকেয়ারের সিসিইউতে আছেন। মেডিকেল বোর্ডের ডাক্তাররা তাকে দেখছেন, আজও তাদের মিটিং আছে। তারা সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্যগত পর্যবেক্ষণ করছেন, সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দিচ্ছেন।’
এদিকে উন্নত চিকিৎসা প্রাপ্তি খালেদা জিয়ার অধিকার উল্লেখ করে, তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা বারবার বলেছি এটা তার অধিকার, এটা কোনো দয়া নয়, তার গণতান্ত্রিক অধিকার। চিকিৎসার জন্য তিনি জামিন পেতে পারেন। যদিও একটা মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে। সেখান থেকে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিৎ।’