স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা অনুসারে নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টামাংশ অপেক্ষা কম ভোট পেলে প্রার্থীর জামানতের টাকা সরকারের অনুকুলে বাজেয়াপ্ত হয়। জেলার দুই উপজেলায় গত বৃহস্পতিবার হয়ে যাওয়া নির্বাচনে হরিপুরের ৩০ চেয়ারম্যান প্রার্থীর ১৩ জন ও রানীশংকৈলের ২২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৯ জনসহ মোট ২ ২জনই এক-অষ্টমাংশ ভোট পাননি। জামানত হারানোদের তালিকায় ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান প্রার্থীও রয়েছেন। তিনি হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. হামিদুর রহমান জামানত হারিয়েছেন।
উপজেলার আট ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচ ইউপিতে গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেকমরদ ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. হামিদুর রহমান নৌকা প্রতীক নিয়ে অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারেননি। নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী মোট ভোটের ৮ ভাগ ভোট না পেলে প্রার্থী জামানাত হারাবেন। এই অনুযায়ী তিনি যা ভোট পেয়েছেন তাতে তিনি নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া জামানত হারাচ্ছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ২৪৭টি।
এই ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি (বহিষ্কৃত) আবুল হোসেন বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৮৪১৮টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান এনামুল হক তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪৮২৫ ভোট। এই ইউপিতে মোট প্রার্থী ছিলেন ছয়জন। তাঁদের মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ভোট পাওয়ার সংখ্যায় রয়েছেন ৪ নম্বরে।