গ্রিসের মর্গে পড়ে আছে বাংলাদেশির নিথ’র দেহ

তুরস্ক থেকে অবৈধভাবে গ্রিস যাওয়ার পথে ‘স’ন্ত্রাসীদের আঘাতে’ আ;হ;ত কয়েছ আলী নামের এক বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মা;রা গেছেন।

কয়েছ মিয়া সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার হলদিকান্দি গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে।জানা গেছে, উন্নত জীবনের আশায় প্রিয় স্বদেশ ছেড়ে প্রায় ১০ মাস আগে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে পাড়ি জমান মা-বাবার একমাত্র সন্তান ৩০ বছর বয়সী কয়েছ আলী।

দেশটিতে কিছুদিন থাকার পর ইউরোপের দেশে প্রবেশের উদ্দেশ্যে চলে যান তুরস্ক। এরপর চলতি মাসের শুরুর দিকে তুরস্ক থেকে গ্রিসের পথে পাড়ি জমান কয়েছ।

তার পরিবার জানায়, গ্রিসে অনুপ্রবেশকালে ‘স’ন্ত্রাসীদের কবলে পড়েন কয়েছ’। তখন তিনি স’ন্ত্রাসীদের আ;ঘা;তে গুরু;তর আ;হ;ত হন। পরে তাকে গ্রিসের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রায় একমাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার রাতে মৃ;ত্যুবরণ করেন।

ম;র;দেহ দেশে পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের মাধ্যমে সোমবার সকালে গ্রিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে আবেদন পাঠিয়েছে নিহতের পরিবার। কয়ে;ছের মৃ;ত্যুতে গভী;র শোক; প্র;কাশ করেছে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস।

বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা বলছেন, বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের সহযোগিতায় দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে তার মরদেহ দেশে পাঠাতে প্রক্রিয়া চলছে।

গ্রিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) বিশ্বজিত কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নিহত কয়েছ আলীর মরদেহ বর্তমানে গ্রিসের একটি হাসপাতালের ম;র্গে আছে। দেশে নেওয়ার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে।

এর মধ্যে মরদেহ দেশে পাঠানোর কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে দেশে পাঠানো হবে।

নি;হ;তে;র শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং সবা;ইকে এ ধরনের অ;বৈধভাবে জীবনের ঝুঁ;কি নিয়ে বিদেশ পাড়ি দেওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের এই কর্মকর্তা।