সরকারের নির্বাহী আদেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। আগের শর্ত বহাল রেখে সাজা স্থগিতের এই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রয়েছে। খালেদা জিয়ার নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা রয়েছে। এর মধ্যে গত এপ্রিলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাও নেন তিনি। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর তার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে কিছুদিন আগে তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছে বিদেশে চিকিৎসার জন্য, এ বিষয়ে সরকারের চিন্তাভাবনা কী এবং আইন অনুযায়ী তিনি বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পেতে পারেন কি-না? এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, যে ধারায় খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেটা সরকারের নির্বাহী আদেশ। এই মুক্তির মেয়াদ সরকার বর্ধিত করতে পারে। খালেদা জিয়া আবেদন করেছিলেন, তার প্রেক্ষিতে সরকার দুটি শর্তে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তি দিয়েছে।
এখন শুধু নতুন করে মুক্তির মেয়াদ বর্ধিতই করা যাবে। কিন্তু তার বিদেশে যাওয়ার বিষয় যদি আসে, তাহলে তাকে নতুন করে আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে যে আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং শর্তে বর্তমানে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে সেটা বাতিল করতে হবে। তাকে পুনরায় কারাগারে গিয়ে নতুন করে বিদেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। তখন সরকার কী করবে, সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা যাবে। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় কিছু করার নেই।
হাসপাতালে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
মহামারি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ দুই শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। শর্তগুলো হলো: তিনি বাসায় থেকে চিকিত্সা নিতে পারবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১-এ সাজা স্থগিত দেখিয়ে তিন দফায় এই মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে খালেদা জিয়ার কারাভোগের মেয়াদ ছয় মাস স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সূত্র : ইত্তেফাক