সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের পোস্টার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে আলোচনায় আসেন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হেলেনা জাহাঙ্গীর। তার এই বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে দলের উপকমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি।
এরই মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে হেলেনা জাহাঙ্গীরের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাখ্যা দিয়েছেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল-
‘ব্যবহার বংশের পরিচয়….
আমাদের দেশের কিছু মানুষ রাজনীতি করে নিজের দেমাগ ফুটিয়ে তুলতে।নিজের দলের সাথে নিজের কমিটির মেম্বারদের সাথে নিজেরাই পেছনে লেগে থাকে।কি অসভ্যতা আল্লাহ মাফ করুন।ছিঃছিঃ কি জঘন্য মানসিকতা।আমরা এগুলো দেখে বড় হই নাই। ঘাত-প্রতিঘাত পার করে আজকের এই অবস্থান। পেছনে যারা করে তারা কখনো উঠতে পারে না। রাজনীতি করলে মনে করে সে নিজেই রাজা তার ওপরে যে কত রাজা আছে সেটাই ভুলে যায়। কিছু কথা না বলেই নয়। সাবেক চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে কি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই? তাতে কি কিছু বুঝা যায়? আমারা কি অশিক্ষিত যারা এই ভুলগুলো করছি। সবাইকে জানানোর জন্যেই বলছি, আমি আমার নেতা ও নেত্রীর কথার বাইরে এক পাও আগাইনা কাজও করি না। ওনাদের পরামর্শ নিয়েই সব কাজ করি। যারা আমাকে নিয়ে লিখেছেন তারা আমাদের আওয়ামী লীগের। আমার বোধগম্য হয় না কিভাবে তারা ঘরের মানুষের ঘরের মানুষ লেগে থাকে। যাইহোক আল্লাহ হেদায়েত করুন।আবারও বলছি এর আগেও বলেছি খালেদা জিয়া ও অনান্যদের সাথে যে ছবিগুলো ভাইরাল হচ্ছে সেটা বিয়েতে এসেছিল তখন তোলা ছবি এবং এ ছবিগুলো আমি নিজেই ফেসবুকে দিয়েছিলাম।আমার কিছুই গোপনীয়তা নেই।আর আমি একজন প্রকৃত ১০০% ব্যবসায়ী ও সরকারের একজন কমার্সিয়াল ইমপোর্টেন্ট পার্সন CIP…সেখান থেকে রাজনীতিতে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর সৈনিক ছোট বেলা থেকেই। যারা পেছনে কথা বলে তারা আমার কাছে আসতে পারে না বলেই এভাবে লেগে থাকে। আমার চেয়ার আমাকে কেউ দেয় নাই। আমার যোগ্যতায় ও আমার কঠোর পরিশ্রমের ফসল আমার এখানে আসা। পেছনে যারা কথা বলে তাদের কোনো অস্তিত্ব নেই বলেই বলে। যাদের যোগ্যতা নেই, তারাই মানুষের পেছনে লেগে থাকে, মানুষ সামাজিক জীব সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই আমাদেরকে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে যেতে হয়, একটা ছবি মানুষের রাজনৈতিক পরিচয় বহন করে না।’
জয়যাত্রা গ্রুপের কর্ণধার হেলেনা জাহাঙ্গীর নিজেকে আইপি টিভি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবেও পরিচয় দেন।
সম্প্রতি ফেসবুকে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে হেলেনা জাহাঙ্গীরের নাম আসে।
সেই কারণেই তাকে উপকমিটির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক।
‘চাকরিজীবী লীগ’ নামে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তারা দুই-তিন বছর ধরেই আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সংগঠনটির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই।
এ বিষয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীর যুগান্তরকে বলেন, আমি এখন পর্যন্ত অফিসিয়াল কোনো চিঠি পাইনি। এ রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে আমার কিছু করার নেই।
সূত্র : যুগান্তর