বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ১৯ জুলাই বিকেলে রাজধানীর মহাখালীর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন।
করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শরীরে ‘সামান্য’ জ্বর এসেছে। গত ১৯ জুলাই খালেদা জিয়া টিকা নেন। বুধবার রাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে এমনটাই জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তবে কোভিড থেকে মুক্ত হওয়ার পর এখন খালেদা জিয়া ‘মোটামুটি ভালো’ আছেন বলেও জানান মির্জা ফখরুল। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, খালেদা জিয়া করোনায় অসুস্থ হওয়ার পরে, প্রকৃতপক্ষে এক বছর পরে আমরা সবাই একসঙ্গে ঈদের দিন ম্যাডামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেয়েছি। ম্যাডাম এমনিতেই কোভিডের পরে ভালো আছেন মোটামুটি। তিনি ভ্যাকসিন নিয়েছেন, সেজন্য কিছুটা টেম্পারেচার এসেছে। এটা ভ্যাকসিনের জন্য এসেছে।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমরা যেটা বরাবরই বলে আসছি এবং ডাক্তার সাহেবদের যেটা পরামর্শ- সেটা হলো খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা দরকার উন্নত সেন্টারে। এটা খুবই বেশি প্রয়োজন তাঁর।’
রাত ৮টার দিকে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ জ্যেষ্ঠ কয়েক নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় যান।
সেখান থেকে বেরিয়ে বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘ম্যাডাম আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এবং বর্তমান এই করোনা পরিস্থিতিতে যেন সবাই স্বাস্থ্য বিধি মোতাবেক চলেন এই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।’
খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
সূত্র : এনটিভি অনলাইন