সৌদির তাবুক শহরে থাকা প্রবাসীদের জন্য সুখবর

তাবুক সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের তাবুক রিজিওনের রাজধানী তথা প্রধান শহর। এটি সৌদি আরব-জর্ডান সীমান্তের নিকটবর্তী প্রখ্যাত শহর। তাছাড়া এটি লোহিত সাগর অতিক্রম করে মিশর অভিমুখী অঞ্চল। শহরটি কৃষিকাজের উপযুক্ত এবং বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। আর অসংখ্য বাংলাদেশি নাগরিক তাবুকে কৃষিকাজে নিয়োজিত।

প্রায় লক্ষাধিক বাংলাদেশি তাবুক শহরে বসবাস করেন। কৃষিকাজের পাশাপাশি তারা বিভিন্ন পেশায় যেমন: মহিলা গৃহকর্মী, কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার, কার্পেন্টার, প্লাম্বার, মেইনটেনেন্স ওয়ার্কার, ড্রাইভারসহ নানা পেশায় নিয়োজিত।

কোভিড পরিস্থিতির কারণে সৌদি সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় ০৬ মাস পর বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দা হতে প্রায় ২৪ জন কর্মকর্তা কনসাল জেনারেল – এর নেতৃত্বে সরাসরি সেখানে তাদের বিভিন্ন সেবা যেমন: পাসপোর্ট রি ইস্যু, প্রবাসী মেম্বারশীপ কার্ড ইস্যু/ডেলিভারী, স্পেশাল এক্সিট প্রোগ্রামের আওতায় যারা স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত যেতে ইচ্ছুক, তাদের বিষয় প্রসেস করা, আউটপাস ইস্যুসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের নানামুখী আইনী সহায়তা প্রদান, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড ইস্যুসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রবাসীদের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে এখানে ২ দিন অবস্থান করবেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় মন্ত্রী’র নির্দেশনা মোতাবেক সদ্য সৌদি ফেরত প্রবাসী বাংলাদেশি যারা হোটেল কোয়ারেন্টিনে সম্পন্ন করেছেন তাদের অনুকূলে সরকারি ভর্তুকি হিসেবে ২৫০০০ টাকার আবেদন গৃহীত হয়েছে। কনস্যুলার ট্যুরের যাবতীয় কার্যক্রম কনসাল জেনারেল নাজমুল হক সরাসরি নিজেই তত্ত্বাবধান করছেন। তিনি নিজেই প্রবাসীদের কথা সরাসরি শুনছেন এবং তাৎক্ষনিক সমাধান করার জন্য যথাযত নিচ্ছেন।

প্রবাসীদের নানাবিধ সমস্যা যেমন কফিল কর্তৃক হুরুপ প্রদান, বেতন ভাতাদি সঠিকভাবে না পাওয়াসহ বহুবিধ সমস্যা কনস্যুলেটের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কাউন্সেলর (শ্রম) মোঃ আমিনুল ইসলাম, দ্বিতীয় সচিব কে এম সালাহউদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: সিরাজুল ইসলাম, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির, শাহিদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে যথাযথ আইনী পরামর্শসহ স্পেশাল এক্সিট প্রোগ্রামের (SEP) এর আওতায় যারা দেশে যেতে ইচ্ছুক তাদের আবেদন প্রসেস করছেন।

কনস্যুলেট কর্মকর্তাদের এমন উদ্যোগে সম্মানিত রেমিট্যান্স যোদ্ধারা অত্যন্ত খুশি। তারা এমন ফলপ্রসু কার্যক্রমে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এই সেবাটি যদি জেদ্দায় গিয়ে নিতে হতো তাহলে কোম্পানী হতে বিনা বেতনে কমপক্ষে ২ দিন ছুটি নিতে হতো। কিন্তু কনস্যুলেট পরিচালিত এমন প্রদেশভিত্তিক কনস্যুলার ট্যুরের মাধ্যমে তারা স্বস্থানে বসে ছুটির দিনেই সেবাটি পাচ্ছেন।