মালয়েশিয়ায় গ্রেফতার অভিযান বন্ধে সরকারের কাছে আবেদন

বৈশ্বিক ম’হামা’রীর তৃতীয় তর’ঙ্গে মালয়েশিয়াজুড়ে কোভিড-১৯ এর সং’ক্র’ম’ণ হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে । এর মোকাবিলায় জনগণের চলাচলে দুই সপ্তাহের জন্য কঠোরতা (ল’কডা’উন) আরো’প করেছে সরকার যা ১৪ জুন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এ ঘোষণার পর গতমাসের ২৯ তারিখ শনিবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জয়নুদিন অপর এক ঘোষণায় বলেছিলেন, ল’কডা’উন চলাকালীন সময়ে অনিবন্ধিত অভিবাসীদের আট’কের জন্য অ’ভিযান পরিচালনা করবে সরকার।

ঘোষণার পর থেকে সাম্প্রতিক সময়ে অভিবাসন বিভাগসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বেশ তৎপর হয়েছে এবং সারা দেশে অভিযান অব্যহত রেখেছে। তবে অবৈধ অভিবাসীদের আ’টক করা কো’ভি’ড-১’৯ এর সং’ক্রম’ণ নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টার জন্য ক্ষ’তিকারক হবে বলে মনে করে দেশটির অন্তত ৮৩ টি বেসরকারি সংস্থা। স্থানীয় গণমাধ্যম নিউ স্ট্রেইট টাইম্স এর খবর বলছে মঙ্গলবার (৮ জুন) ৭১ জন ব্যক্তি এবং অন্তত ৮৩ টি বেসরকারি সংস্থা একটি

আবেদনে করেছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তান শ্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন বরাবর তাদের স্বা’ক্ষরিত আবেদনে, বিনা শর্তে অভিবাসীদের গ্রে’প্তা’রের জন্য সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করা এবং পরিবর্তে কো’ভি’ড-১’৯ এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে মনোনিবেশ করার জন্য অনুরো’ধ করেছেন।

২৯ মে এবং ৩ জুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি হামজাহ জয়নুদিন জারি করা প্রেস বিবৃ’তিতে অনেকের মধ্যে এই ধারণা তৈরি করেছিল যে সরকার স্বল্প সময়ের মধ্যে অভিবাসীদের (অ’বৈধ অভিবাসীদের) ব্যাপক পরিমাণে গ্রে’প্তার করার একটি পরিকল্পনা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আমরা, বিভিন্ন সংস্থা থেকে আবেদনকারীরা মনে করি অ’বৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করে আট’কে রাখা ম’হামা’রী ল’ড়াই’য়ের প্রচেষ্টাকে আরও জ’টিল করে তুলবে। এই জাতীয় অভিযান বিদেশী কর্মীদের ভয় দেখিয়ে দেবে তারা নথিভু’ক্ত বা অ’নিবন্ধিত যাই হোক।

আসলে, এই জাতীয় পদক্ষে’পের ফলে তারা সরকারি প্রতিনিধিদের এড়াবে এবং আ’ত্মগো’পনে যেতে পারে। আবেদনকারীদের মতে, এই মুহুর্তে অনিবন্ধিত অভিবাসীদের গ্রে’প্তার এবং আ’টকে রাখার ফলে অভি’বাসন আ’টক কেন্দ্রগুলিতে কো’ভি’ড-১’৯ এর নতুন ক্লাস্টার হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

তারা যোগ করে যে, এটি অনিবন্ধিত অভিবাসীদের মধ্যে কো’ভি’ড’-১’৯ এর বি’স্তার বাড়িয়ে তুলবে সাথে অভিবাসন কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য, আদালতের কর্মীদের (যারা রি’মান্ড নিয়ন্ত্র’ণে জড়িত) এবং তাদের পরিবারের সদস্যদেরও সং’ক্র’মিত করবে।

সুতরাং, এটি টিকার মাধ্যমে প্রতি’রোধ ক্ষমতা তৈরি করার সরকারের প্রচেষ্টাকেও পরাস্ত করবে । টি’কা কার্য’ক্র’ম সফলের জন্য অভিবাসী সম্প্রদায়সহ মালয়েশিয়ার জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের জন্য টিক নিশ্চিত

করতে হবে। জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ টি’কাদা’ন পর্যায়ে পৌঁছাতে ব্যর্থতা দেশের অর্থনৈতিক পু’নরু’দ্ধারে বিলম্বিত করবে এবং মানুষের দু’র্ভো’গ বাড়িয়ে তুলবে বলে দা’বি করা হয়েছে। এই সম্ভাবনাটি এড়ানো উচিত, বলে তারা জোর দিয়েছেন।

তারা ই’ঙ্গিত দিয়েছেন যে অভিবাসন বিভাগের মালয়েশিয়ায় থাকা ২০ থেকে ৩০ লাখ অনিবন্ধিত অভিবাসীদের গ্রে’প্তার এবং তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ক্ষমতা নেই। গত বছরের ১ জুলাই সুহাকামের অনুমান অনুসারে, অভিবাসন

আ’টক কেন্দ্রগুলিতে কেবল ১২ হাজার ৫৩০ জন ব’ন্দী থাকার ব্যবস্থা করা যায় তবে ১৫ হাজার ১৬৩ জন ব’ন্দী ভরাট হয়ে তাদের ক্ষম’তা ছাড়িয়ে গেয়েছিল। এ ছাড়া অ’নিবন্ধিত ৯৯ শতাংশেরও বেশি অভিবা’সী জাতীয় অর্থনীতিতে কাজ করছে এবং অবদান রাখছেন। দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমগুলোর জন্য তাদের পরিষেবাও প্রয়োজন।

সম্ভবত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা বিশ্বাস করেন যে এই সিদ্ধান্ত কো’ভি’ড-১’৯ মহা’মা’রীকে কা’টিয়ে উঠতে সহায়তা করবে। তবে, তাঁর মনে রাখা উচিত যে গৃহীত প্রতিটি কর্মপরিকল্পনা অবশ্যই সুস্পষ্ট, উদ্দেশ্যমূলক এবং যুক্তিসঙ্গত বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের ভিত্তিতে হওয়া উচিত।

আবেদনকারী আরো জানান, আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি যে প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন এই বিষয়টি জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের বৈঠকে নিয়ে আসবেন যাতে কো’ভি’ড-১’৯ ছড়িয়ে পড়লে অ’নিবন্ধিত অভিবাসীদের পরিচালনা করার জন্য আরও উপযুক্ত এবং একীভূত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা যায়।