করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে না। তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তার চিকিৎসা হলো মুক্তি।
শুক্রবার (৭ মে) ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। করোনা পরিস্থিতির এই সংকটকালে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় সাংবাদিক ইউনিয়ন, প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, তোপখানা রোড, হাজারীবাগ ও বাড্ডা এলাকায় ৮২০ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়। ২৪ কেজি ওজনের প্যাকেটে একটি মাঝারি পরিবারের ১৫ দিন চলার মতো খাদ্য সামগ্রী রয়েছে। ঈদের আগে আরও ৫০০ প্যাকেট ত্রাণ বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানানো হয়।
এসময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বেকার সাংবাদিকদের ঈদের খাদ্য উপহার হস্তান্তর করা হয়। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন রোকন ও ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা ও ট্রেজারার মইন আহমেদের কাছে এসব উপহার হস্তান্তর করা হয়।
খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিলে তিনি কোথায় চিকিৎসা করবে সেটা তার স্বাধীনতা বলে উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমাদের অতীতের প্রতিহিংসা, ভুল স্মরণ না রেখে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মানসিক শক্তি না থাকলে সুস্থ হওয়া যায় না। সেই জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান করছি, ছাত্রদের পাশাপাশি খালেদা জিয়াকেও মুক্তি দেওয়া হোক। তার কিছু হয়ে গেলে পরে আক্ষেপ করতে হবে।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, দেশে এখন ভয়াবহ অবস্থা। করোনা পরিস্থিতি খারাপ, মানুষের মুখে খাবার নেই। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সরকারের ভুলনীতি। গণপরিবহন চলছে না, অথচ প্রাইভেট গাড়ি চলছে।
তিনি আরও বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে যেসব মানুষ বাড়ি যেতে চায় তাদেরকে করোনা পরীক্ষা করে পাঠানো উচিত বলে মন্তব্য করেন। না হলে গ্রামে-গঞ্জে আবারও করোনা ছড়িয়ে পড়বে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র মানুষের কল্যাণে কাজ যাচ্ছে বলে উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, এখানে প্রায় ১৫ দিনের খাবার আছে। লোক দেখানো দান করে লাভ নাই। ধনাঢ্যদের পাশাপাশি আমাদের কর্মীরাও একদিনের বেতন ডোনেট করেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মনজুর কাদির আহমেদ, অধ্যাপক ডা আরমান ও গণস্বাস্থ্যের মিডিয়া উপদেষ্ঠা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।