কর্মীকে পুলিশের হাত থেকে বাঁচিয়ে বিএনপির ইশরাক ভাইরাল (ভিডিও)

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাঠিপেটায় আহত কর্মীকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে আনার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। দক্ষিণ সিটির মেয়র প্রার্থী ও দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির অন্যতম সদস্য প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন ওই কর্মীকে ছিনিয়ে নেন। এসময় তিনিও সামান্য আহত হন।

পরে ওই ভিডিওটি ইশরাকের ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়। ক্যাপশনে ইশরাক লেখেন, লাঠিচার্জ অথবা কামানের গোলা চার্জ, যেটাই হোক জান থাকতে আমাদের একজন কর্মী সমর্থকেও নিয়ে যেতে দিবো না এটাই হোক আগামী দিনের সংকল্প। ভিডিওটি প্রচারের প্রথম ঘণ্টাতেই ৮ হাজারের বেশি শেয়ার হয়।

এ পর্যন্ত ওই ভিডিওতে কমেন্ট করেছেন ৪ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে বিশেষভাবে গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক বাপ্পাদিত্য বসুর কমেন্টটি সবার নজর এসেছে। তিনি লিখেছেন, ‘অ‌নেক‌দিন প‌রে আজ বিএন‌পির কো‌নো নেতা নেতার ম‌তো ভূ‌মিকা নি‌লেন। আপনা‌দের রাজনী‌তির ঘোরতর বি‌রোধী আ‌মি।

কিন্তু আজ আপনার ভূ‌মিকা নেতার ম‌তো ছি‌লো। শ্র‌দ্ধেয় সা‌দেক হো‌সেন খোকার ছে‌লের ম‌তো ছি‌লো। নুরুল আলম নামের একজন কমেন্টে লেখেন, সত্যি বীরের ঘরে বীর উনি। বৃদ্ধ বাবারা অবসরে গিয়ে এদেরকে বিএনপির নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া প্রয়োজন এরাই আমার মনে হয় দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারবেন’।

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শনিবার জাতীয় প্রেসবক্লাবের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। শায়রুল কবির খান যুগান্তরকে বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের শেষ পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

নেতাকর্মীদের রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশের লাঠিপেটায় ইশরাক হোসেন আহত হয়েছেন বলে জানান শায়রুল। শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বক্তব্য দিচ্ছিলেন।

পুলিশের লাঠিপেটা শুরু হলে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমানুল্লাহ আমান ও হাবিবুন্নবী খান সোহেলকে নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের ভেতরে নিয়ে যান। অনেক নেতাকর্মী দৌড়ে অন্যত্র সরে যান। তবে এ সময় তাদের স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন