ভারতে বাতিল করা হল উচ্চমাধ্যমিকের বাকি থাকা পরীক্ষাগুলি। ২, ৬ ও ৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা হচ্ছে না, শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে কীভাবে ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন হবে তা পরে জানানো হবে বলেই জানিয়েছেন দেশটির শিক্ষামন্ত্রী।
করোনা পরিস্থিতিতে শুরু থেকেই অনিশ্চয়তায় ছিল উচ্চমাধ্যমিকের ভবিষ্যত। জুলাইতে CBSE আর ICSE -র পরীক্ষা বাতিল হয়েছে ইতিমধ্যেই। রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিকও জুলাইতে হওয়ার ছিল। কিন্তু প্রশ্ন ছিল এরপর উচ্চমাধ্যমিকের ভবিষ্যত কী হবে? কেননা এর আগে সিবিএসইর পরীক্ষা যখন স্থগিত হয়, তখন রাজ্যের পরীক্ষাও স্থগিত হয়েছিল। তাছাড়া জুলাই পর্যন্ত ট্রেনও চলবে না রাজ্যে। যাতায়াতের সমস্যার কারণে তাই জুলাইতেও পরীক্ষার ৃসম্ভাবনা ক্ষীণই ছিল আগাগোড়া। কিন্তু বিকল্প কী? এবার তা স্পষ্ট করল শিক্ষা দফতর।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এই মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ থাকলে, পরে সুবিধামতো সেই পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে। এই বিকল্পও আমরা খুশি রাখছি। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রেজাল্ট প্রকাশ করার চেষ্টা করা হবে। আমাদের কাছে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা প্রাধান্য।’
CBSE, ICSE এবং উচ্চমাধ্যমিকের ভবিষ্যত কী? এতদিন এই ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচার্য বিষয়। তবে সিদ্ধান্ত, জুলাইয়ে CBSE আর ICSE-র কোনও পরীক্ষা হচ্ছে না। আগেই এই দুই বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল এই পরিস্থিতিতে জুলাইয়েপরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। আর এই সিদ্ধান্তের প্রতি অনুমোদন দিয়ে পরীক্ষা বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
জানানো হয়, গড় নম্বরের ভিত্তিতেই দশম আর দ্বাদশ শ্রেণীর CBSE আর ISCE-র পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে জুলাইয়ের মাঝামাঝি। ফলে রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদও একই পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই পথেই হাঁটবে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এ রাজ্যে ৩১ জুলাই একটি ফল প্রকাশ করবে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। পড়ুয়ারা প্রয়োজনে সেই ফলের ভিত্তিতে আবারও পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে।