রাশিয়ার আজীবন প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন পুতিন!

‘যদি পুতিন না থাকে, তাহলে রাশিয়াও থাকবে না’। ক্রেমলিনের এক ডেপুটি চিফ অব স্টাফ দেশটির প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে তার মতামত জানালেন এভাবে। এটি যেন আসলে রাশিয়ার কোটি কোটি মানুষের চিন্তারই প্রতিধ্বনি। গত কয়েক দশক ধরে এরা ভ্লাদিমির পুতিনকে ক্ষমতায় রাখার জন্য ভোট দিয়ে চলেছেন। কখনো প্রেসিডেন্ট পদে, কখনো প্রধানমন্ত্রীর পদে। যদিও দেশটিতে ভোট এবং ক্ষমতা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে।

আগামী পহেলা জুলাই হয়ত পুতিনের প্রতি তাদের এই আস্থার নবায়ন ঘটবে পুরো দেশজুড়ে এক গণভোটের পর। রাশিয়ার সংবিধানে পরিবর্তন আনা হবে এই গণভোটের মাধ্যমে। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও দুই বার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারবেন। রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় ছয় বছর মেয়াদের জন্য।

পুতিনের বয়স এখন ৬৭ বছর। ২০২৪ সালে বর্তমান মেয়াদ শেষ হলে তিনি যে আবার প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াবেন না, এমন কথা এখনো বলেননি। এর মানে হচ্ছে তিনি হয়তো ২০৩৬ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন।

বর্তমান মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুতিনের বয়স হবে ৭১ বছর। আর তারপর যদি আরও ১২ বছর তিনি ক্ষমতায় থাকেন তাহলে শেষ পর্যন্ত তার বয়স হবে ৮৪ বছর। কিন্তু এরপরেও কী হতে পারে তা জানে না কেউ।

৩০ জুন (বুধবার) মস্কোর রেডস্কোয়ারে এক বিরাট সামরিক কুচকাওয়াজের একদিন পর পহেলা জুলাই বৃহস্পতিবার রাশিয়ায় এই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।

ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান এবং নাৎসী জার্মানীর পরাজয়ের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এই বিরাট সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হচ্ছে।

মস্কোর এই চোখ ধাঁধাঁনো সামরিক কুচকাওয়াজের লক্ষ্য রাশিয়ায় মানুষকে দেশপ্রেমের গরিমায় উজ্জীবিত করা। এ জন্যে মস্কোর লকডাউন শিথিল করার সময়সীমা পর্যন্ত এক সপ্তাহ এগিয়ে এনেছেন সেখানকার মেয়র। সমালোচকরা বলছেন, এসব কিছুর লক্ষ্য আসলে গণভোটে প্রেসিডেন্ট পুতিনের পক্ষে পাল্লা ভারী করা।