করোনা: সৌদিতে মেয়াদোত্তীর্ণ আকামা ফি মওকুফ

দিন যতই যাচ্ছে সৌদি আরবে হু হু করে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। গতকাল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪৪ জনে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় সৌদি নাগরিক ও প্রবাসী মিসরীয় নাগরিক। আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশীর খবর নিশ্চিত করেছেন সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও একজনের বাইরে আর কোন প্রবাসী বাংলাদেশি আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া যায়নি। এতে অনেকটা স্বস্তিতে সৌদি আরব প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সৌদি সরকারের আইন মেনে ইতিমধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন প্রবাসীরা। এরমধ্যে গতকাল সরকারের ৭০ বিলিয়ন রিয়াল প্রণোদনায় অনেকটা উচ্ছ্বসিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তবে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত সৌদি আরবে ছোটখাটো ব্যবসা অথবা যাদের আকামার মেয়াদ ইতোমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে সেই সব প্রবাসীরা।

মেয়াদ উত্তীর্ণ আকামার ফি ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত মওকুফ করাসহ করোনা ভাইরাস এর প্রেক্ষিতে সৌদি আরবে বিভিন্ন সেক্টরে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি হওয়ার কারণে সৌদি সরকার গতকাল প্রায় ৭০ বিলিয়ন রিয়ালের প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে।

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ ও ভবিষ্যতে সম্ভাব্য ক্ষতির হিসেব করে এই লক্ষে করনীয় নির্ধারণ করতে এক মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৮টি মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন এবিষয়ে করনীয় নির্ধারণ করবে।

এছাড়াও এই মুহূর্তে বেশ কিছু ছাড়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

*ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমুহের মিউনিসিপালিটি কর আগামী তিন মাসের জন্য মওকুফ করা।

*আগামী তিন মাসের জন্য আমদানি পন্যের উপর শুল্ক মওকুফ করা।

*তিনমাসের জন্য ব্যবসায়ীদের আয়কর ও ভ্যাট প্রদান মওকুফ।

*এসএমই খাতে আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করা।

*যে সমস্ত কোম্পানির কর্মীদের ইকামার মেয়াদ এক্সপায়ার হয়ে গেছে তাদের ইকামার ফি মেয়াদ শেষ হওয়ার পর হতে ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত মওকুফ করা, এবং কফিল তা ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করার মধ্য দিয়ে করতে পারবে।

*বিভিন্ন ফি না দেয়ার কারণে কোম্পানির আইডির সার্ভিস/ খেদমাত বন্ধ হয়ে যাওয়া সার্ভিস পুনরায় ওপেন করে দেয়া হবে।

*যে সমস্ত কর্মীদের এক্সিট রি এন্ট্রি ভিসা দেয়ার পরও এই করোনার কারণে যারা যেতে পারেনি তাদের জন্য আরো তিন মাসের এক্সিট রি এন্ট্রি ভিসা প্রদান করা হবে বিনা ফি তে।

*নতুন কর্মী আনয়নের জন্য ভিসা উত্তোলন করে থাকলে এবং করোনার কারণে কর্মী না নিয়ে আনতে পারলে প্রদত্ত ভিসা ফি ফেরত নিতে পারবে ।

*ভিসা স্টাম্প হয়ে থাকার পরও কর্মী আসতে না পারলে তাদের পুনরায় বিনা ফি তে ভিসা স্টাম্পিং করার সুযোগ দেয়া হবে।