দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখার জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল মঙ্গলবার ইতালি আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবর্ধনায় প্রবাসীদের উদ্দেশ্য এই আহ্বান জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেন উজ্জ্বল হয়, সেভাবে নিয়ম মেনে চলবেন। আপনাদের আচার-আচরণ, ব্যবহার সব কিছুতেই যেন দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়।

এ সময় প্রত্যেক উপজেলা থেকে এক হাজার করে লোক প্রবাসে পাঠাতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা।

বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানির প্রসঙ্গ সম্পর্কে বলতে গিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি জানি যে, প্রবাসী কেউ যদি দেশে যায় বিমানবন্দরে মাঝে মধ্যে খুব হয়রানির শিকার হতে হয়। আসলে আমাদের দেশের কিছু মানুষের চরিত্রই খারাপ। যেই শুনে বাইরে থেকে আসবে তখন ভাবে একটু চাপ দিলে বোধহয় ডলার পাওয়া যাবে।’

ঘুষ না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখবেন ঘুষ যে দেয় সেও যেমন অপরাধী আর যে নেয় সেও অপরাধী। যে নেয় শুধু সে অপরাধী নয়, যারা দেয় তারাও অপরাধী।’

ডিজিটাল পাসপোর্টের পর এখন ই-পাসপোর্ট চালুর কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন ই-পাসপোর্টের যুগ। আমরা ইতোমধ্যে ই-পাসপোর্ট দেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছি। যাতে কেউ আর ধোঁকায় না পড়ে। সে ব্যবস্থাটাও আমরা করে দিয়েছি।’

‘প্রত্যেকটা জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দিয়েছি। কোথাও কোনো অনিয়ম হলে সঙ্গে সঙ্গে যেন ধরা পড়ে। ধরা পড়া শুধু না, তথ্য সরাসরি আমার কাছে চলে আসে।’

ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি ইদ্রিস ফরাজির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবালের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান শিকদার।

এর আগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে চারটায় রোমের ফিয়ামিসিনো বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা।

সফরের দ্বিতীয় দিন বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব চ্যান্সারি ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

দুপুরে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন পালাজো চিগিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জোসেপ্পে কোন্তের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। সেখানে দুই প্রধানমন্ত্রী এক সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজেও অংশ নেবেন।

বিকালে প্রধানমন্ত্রী সফরকালীন আবাসস্থল পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেলে ব্যবসায়ী নেতারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর রাতে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন।

সফরের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দুপুরে ট্রেনে করে রোম থেকে মিলান যাবেন।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০মিনিটে আমিরাত এয়ারলাইন্সের ‘ইকে-২০৬’ ফ্লাইটে মিলান মালফেন্সা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন শেখ হাসিনা।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ১০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।