বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরীক্ষার খাতা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েই দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘অটিজম শিশুরা সবই পারে, শিক্ষকদের শুধু মনোযোগ দিয়ে তা বুঝতে হবে।’
রবিবার সকালে রাজশাহীতে ‘ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজএবিলিটি (এনএএএনডি)’ শীর্ষক এক বিভাগীয় সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘একবার এক অটিস্টিক শিশুকে ফেল করানো হয়েছিল। পরে তার খাতাটি আবার খতিয়ে দেখা হলো। দেখা গেল, সে সব লিখেছে কিন্তু লেখাগুলো একটু অন্যরকম হওয়ার কারণে প্রথমে বোঝা যায়নি। তাই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের খাতা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘অটিস্টিক শিশুরা সমাজের বোঝা নয়। বোঝা তো তারা, যাদের কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। আমরা যাদের স্বাভাবিক মানুষ বলি। আমরা যারা নানা রকম নেতিবাচক কাজে জড়িত, তারাই তো সমাজের বোঝা।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রতিটি অটিস্টিক শিশু কোনো না কোনো প্রতিভার অধিকারী। আমাদের একটু মনোযোগ আর সহায়তা পেলে তারাও নিজেদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারবে। তাদের পাশে থাকতে হবে। বিশেষ করে শিক্ষকদের তাদের ব্যাপারে আন্তরিক হতে হবে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আয়োজনে রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রাজশাহীর বিভিন্ন অটিজম স্কুলের ৪০০ জন শিক্ষক অংশ নেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ ড. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এনএএডি প্রকল্পের পরিচালক ড. মোহাম্মদ দিদারুল আলম। এরপর বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন ও রাজশাহীর আনন্দ স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহীন আক্তার রেনী।