‘বাচ্চারা তোম*রা খেলাধুলায় এসো না। বেকারি অথবা অন্য কিছু শুরু করো। ষাট বছর বয়সে খুশি ও মোটা অবস্থায় মা*রা যাও,’
ফাইনাল হেরে টুইটারে এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার জিমি নিশাম। টুইটারে এমন নানা ধরনের কথাবার্তার জন্য বেশ সমাদৃত তিনি।
ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর নিশাম লেখেন,‘এটা আসলেই ক*ষ্টকর। আশা করি আগামী এক দশকে হয়তো এক বা দুইদিন পাবো যখন আমার মনে এই খেলার শেষ আধা ঘন্টার কথা আসবে না। ইংল্যান্ডকে অভিনন্দন, তারা যোগ্য।’
ক্রিকেটের প্রতি মাঝেমধ্যেই নিজের অনাগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন তিনি।
ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বা জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে টুইটারে প্রায়শই মতামত দেন নিশাম। এমনকি এই বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ওঠার যাত্রার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরীক্ষাও দিয়েছেন তিনি।
ক্রিকেট নিয়ে নিজের হতাশার কথা জানান নিশাম,‘ক্রিকেটে আপনি ১০ হাজার বল অনুশীলন করে মাঠে নামবেন এরপর দেখা যাবে, প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে আউট হয়ে গেলেন, তখন মনে হয় সব ক*ষ্ট বৃথা।’
বিশ্বকাপের এই ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে অনেকেই টুইট করেছেন। যুবরাজ সিং তো বলেই দিয়েছেন এই নিয়ম তিনি মানেন না। তিনি লিখেছেন,‘আমি এই নিয়ম মানি না! কিন্তু নিয়ম তো নিয়মই, অভিনন্দন ইংল্যান্ডকে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ জয়ের জন্য, আমার হৃদয় কিউইদের জন্য যারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছেন।’
‘দুর্দান্ত খেলা ও মহাকাব্যিক ফাইনাল,’ টুইটারে এভাবেই নিজের মনের ভাব প্রকাশ করেন যুবরাজ সিং।
পাকিস্তানের সাবেক পেস বোলার শোয়েব আখতার বলেছেন,‘বিশ্বকাপ ফাইনাল হিসেবে এটা অবিশ্বাস্য, মনে হচ্ছে ট্রফি ভাগাভাগি হয়েছে, ম্যাচ টাই, সুপার ওভার টাই, বেশি বাউন্ডারি মে*রে জিতলো ইংল্যান্ড, লর্ডসে দারুণ এক দৃশ্যপট।’
কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান, শচীন টেন্ডুলকার টুইটারে বেন স্টোকস এবং কেইন উইলিয়ামসনের প্রশংসা করেন।
ভিভিএস লক্ষণও বলেন, জিমি নিশাম কদিন আগেও ক্রিকেট ছাড়তে চেয়েছিলেন, প্রায় বিশ্বকাপ জিতে গিয়েছিলেন, বেন স্টোকস ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ভুলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। এটা খেলাধুলার জগতের জন্যই শিক্ষামূলক। সূত্র : বিবিসি।