জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবরস্থানের জায়গা কেনার জন্য ৫ কোটি টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশিদ।
আজ ৩ জুলাই বুধবার জাপার প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথসভায় এ ঘোষণা দেন তিনি।
তাছাড়া মৃ***র পর এরশাদের শেষ ঠিকানা কোথায় হবে এবং এরশাদকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো যায় কি না তা নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে যৌথসভা ডাকা হয়।
এ সময় জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে দলের ৩৮ জন প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে যৌথসভার বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সভায় শুরুতেই জিএম কাদের এরশাদের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এ সময় কেঁদেও ফেলেন তিনি।
সভায় উপস্থিত বেশিরভাগ নেতা এরশাদের কবরস্থানের জন্য জায়গা কিনে পাবলিক প্লেসে করার পক্ষে মতামত দেন। যদিও কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য সেনানিবাস অথবা আসাদগেটের বিপরীতে সংসদ প্রাঙ্গণে এরশাদের কবরের কথা বলেছেন।
এ সময় সভায় পার্টির নেতারা এর বিরোধিতা করে বলেন, ‘এরশাদ দেশের ১৭ কোটি মানুষের নেতা। তার কবরস্থান যদি সেনানিবাসে হয় তাহলে সাধারণ মানুষ তার কবরস্থান জিয়ারত করতে যেতে পারবেন না।’
সভায় জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সফিকুল ইসলাম সেন্টু মোহাম্মদপুর আদাবরে জায়গা কিনে কবরস্থান করার প্রস্তাব দেন। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘আদাবরে না পাওয়া গেলে সাভারে আমার নিজস্ব জায়গা থেকে দুই বিঘা জায়গা এরশাদের কবরস্থানের জন্য লিখে দিবো।’
এরপর প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশিদ পাবলিক প্লেসে এরশাদের কবরস্থান করার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘এরশাদের কবরস্থানের জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে ৫ কোটি টাকা দেবো। স্যারকে যদি চিকিৎসার প্রয়োজনে বিদেশে নেয়া হয়, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের যাবতীয় খরচও আমি বহন করবো।’
এরপর সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘এরশাদের শারীরিক পরীক্ষা করবে বিশেষজ্ঞ একটি টিম। যদি তারা বিদেশে নেয়ার মত দেয় তাহলে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে।’