ভারতের শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন রাহুল গান্ধী। লোকসভা নির্বাচনে দলের বড় পরাজয়ের পর থেকে তার পদত্যাগের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিলো। অবশেষে বুধবার এক টুইট বার্তায় জানিয়ে দিলেন তিনি আর নেই। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কংগ্রেসের নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। খবর-এনডিটিভি।
রাহুল গান্ধী টুইটারে লিখেন, কংগ্রেস পার্টির সেবা করতে পারা আমার জন্য সম্মানের। দলটির মূল্যবোধ ও আদর্শ আমাদের এই সুন্দর জাতির জীবনীশক্তি হিসেবে কাজ করেছে। আমি এই দেশ ও দলের কাছে কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসায় ঋণী।
রাহুল তার পদত্যাগপত্রে লোকসভা নির্বাচনে নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করে বলেন, পার্টির ভবিষ্যতের জন্য জবাবদিহিতা প্রয়োজন। আর আমার পদত্যাগের পেছনে এটা অন্যতম কারণ। দলের ব্যর্থতার জন্য অন্য নেতাদের জবাবদিহি করে আমার দায় এড়ানো অন্যায্য।
তিনি আরো বলেন, আমার অনেক সহকর্মীরা পরবর্তী সভাপতি নির্বাচনের ভার আমার হাতে দিতে চেয়েছিলেন। তবে দল পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে আমি এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সঠিক হবে না। ভালোবাসা, সাহস ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবে এমন কাউকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিবে কংগ্রেস।
গত লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশেই অত্যন্ত খারাপ ফল করে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী নিজে কংগ্রেসের ঘাঁটি বলে পরিচিত আমেঠিতে প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যান। যদিও কেরালার ওয়ানাড কেন্দ্র থেকে জিতে কিছুটা হলেও মুখ রক্ষা করেন সোনিয়া পুত্র। এরপরেই রাহুল অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, কংগ্রেসের এই হারের দায় কোনো নেতাই নিতে আগ্রহী নন। তাই তিনিই কংগ্রেসের খারাপ ফলের দায় নিয়ে গত ২৫ মে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন।
এর আগে, গত ২০ জুন এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রাহুল বলেন, যে কোনো বিষয়েই একটি দায়বদ্ধতা থাকে। কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়ার সিদ্ধান্তের পরই দেশজুড়ে দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের মধ্যে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে।