ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের মধ্যে উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয়েছে।
এ ঘটনার পর নুরকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সনজিত লেখেন, ‘আমাকে কি ভুলে গেছোস, ওষুধ (ডলা দিলেই বুঝবি)।
সোমবার (১ জুলাই) ডাকসু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির মধ্যে আয়োজিত প্রীতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নুর ও ঢাকা সনজিতের মধ্যে বাদানুবাদ হয়।
টুর্নামেন্ট শেষে পুরষ্কার বিতরণের সময় সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা হয়। পরে এ ঘটনা নিয়ে দুজনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন।
নুরুল হক নুর তার ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘লজ্জা করে না ডাকসুর প্রতিনিধি না হয়েও নির্লজ্জের মতো জোর করে প্রতিনিধি সাজতে? নির্লজ্জ চোরের দল।’
এর জবাবে সনজিত চন্দ্র তার ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, ‘বানরকে মাথায় নিয়ে নাচলে ওটা নাকি মাথায় মুতে দেয়, হালার ভিপির অবস্থাও সেইম। আমাকে কি ভুলে গেছোস, ওষুধ (ডলা দিলেই বুঝবি) কিন্তু ভিপি চিনে না হালা ছোটলোক। আবার যদি ধরি তাহলে জনপ্রতিনিধির মানেটা বুঝায়ে দিমু।’ সনজিত চন্দ্র দাস পরে অবশ্য স্ট্যটাসটি তুলে নেন।
ঘটনার বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সঙ্গে ডাকসুর প্রীতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শেষে পুরষ্কার বিতরণের সময় ছবি তোলার জন্য সামনে দাঁড়ান ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। এতে পেছনে পড়ে যান ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর। এসময় নুর সামনের দিকে দাঁড়াতে চাইলে সনজিত তাতে ‘না’ করেন। সনজিত নুরকে তুই-তুকারি করে বলে গালি দেন বলে জানায় ওই সূত্রটি। পরে অবশ্য পরিস্থিতি সামলে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশ নেন সবাই।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘পুরষ্কার বিতরণের সময় স্যার ছবি তোলার জন্য আমাকে ডাকছিলেন। সনজিত চন্দ্র দাস সামনে ছিলেন। সাংবাদিকরাও একটু চওড়া হওয়ার জন্য বলে। একটু ফাঁকা হয়ে দাঁড়াতে বললে সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, তুই বলার কে—তুই আমারে ছবি তোলা শেখাস’। সেখানে আমাদের ভিসি স্যার ছিলেন, ডাকসুর জিএস ছিলেন। আমি আসলে তার কথার উত্তর দেয়নি।’ এর আগেও বাংলা একাডেমিতে সনজিতের নেতৃত্বে নুরুর ওপর হা*** হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে সনজিত চন্দ্র দাসকে ফোন দেওয়া হলে তার ব্যবহার করা নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।