বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার মিন্নিকে দায়ী করে পোস্ট দেওয়া হয়েছে কুমিল্লা-৪ আসনের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের নামে খোলা ফেসবুক আইডি ও পেজ থেকে।
আওয়ামী লীগের এই এমপির নামে ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট ও একটি পেজ চালু আছে। তার নামের ফেসবুক পেজ থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে রিফাতের স্ত্রী মিন্নিকে দায়ী করা হয় হত্যাকাণ্ডের জন্য।
তবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য-প্রমাণ না দিয়েই রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এর নামে খোলা পেজ থেকে বলা হয়, ‘সাবেক স্বামী নয়ন এর হাতে বর্তমান স্বামী রিফাত খুন,
তার চেয়ে বড় কথা রিফাত, নয়ন দুই বন্ধু,
আমার প্রশ্ন হলো বন্ধু কেন শত্রুতে রূপ নিল ?
এবং এর বিষয় হিসাবে এত বড় খুন,,
খুনিদের মারার আগে এই কথা গুলো জানা খুব জরুরী,
তা হলে সামনে মেয়েরা সচেতন হবে’।
এ পেজ থেকে মিন্নির নামে খোলা একটি ফেসবুক পোস্ট ও কিছু ছবি দেওয়া হয়।
এই এমপির একই নামে খোলা ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও পোস্টটি শেয়ার করা হয়।
একই নামের অ্যাকাউন্টে পোস্ট শেয়ার দেওয়ার সময় তিনি লেখেন, ‘দুই বন্ধুর মধ্যে নষ্টের মূল মেয়েটা তবে মেয়েটার উপর কোন আঘাত করল না কেন?’
এ ব্যাপারে রাজী মোহাম্মদ ফখরুল বলেন, ‘এ আইডি আমার না। ফেসবুকে আমার একটি আইডি আছে, যেখানে আমি রাজনৈতিক বা অন্য বিষয়ে কোনো কিছু দিই না। শুধু নিজের পারিবারিক বিষয়গুলো শেয়ার দিই’।
তবে ওই অ্যাকাউন্টের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি এ এমপি। তিনি তার নামে চালু থাকা ফেসবুক পেজ ও অ্যাকাউন্টের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতেও রাজি নন বলে জানান।
তিনি বলেন, এগুলো অন্য কেউ চালাচ্ছে। হয়তো বিদেশ থেকে চালায় তারা।আমি তাহলে কীভাবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব?
এর আগে বুধবার সকাল ১০টার দিকে রিফাত ও তার স্ত্রী মিন্নি বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা রাম দা নিয়ে রিফাতের ওপর চড়াও হয়। এরপর রিফাতের মৃত্যু হয়। সারা দেশে যা তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে। অনেকে মিন্নির সঙ্গে নয়নের সম্পর্ক ছিল বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উল্লেখ করেন।
মিন্নি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিয়ের আগে থেকেই রিফাতের সঙ্গে আমার ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পরও নয়ন আমাকে বিরক্ত করে আসছিল। বিষয়টি আমি আমার স্বামীকেও জানিয়েছিলাম।’