রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে কেন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি রুমিন ফারহানা।
বৃহস্পতিবার রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টক-শো অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, জামায়াতকে কেন নিষিদ্ধ করা হয় না? বারবার কেন আদালতের দিকে তাকিয়ে থাকা হয়? এ প্রশ্ন তো আমারও। দীর্ঘদিন ধরে এ প্রশ্ন করে আসছি। এই প্রশ্নটার উত্তর আমি পাচ্ছি না।
জামাতকে নিষিদ্ধ না করায় সরকারের বিরুদ্ধে তোপও দেগেছেন বিএনপির এই সাংসদ। তিনি বলেন, আমি যদি বলি জামায়াতকে লালন-পালন করে রাজনীতিতে টিকিয়ে রাখে আওয়ামী লীগ তার নিজের স্বার্থে, তাহলে কি ভুল হবে? হবে না। ১৯৯৬ সালে ১৭৬ দিন যখন হরতাল করেছিল আওয়ামী লীগ, তাদের সঙ্গী কে হয়েছিল? এই জামায়াত।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ঘাটলে আপনি খুঁজে পাবেন আওয়ামী লীগ নেতাদের সেসব ছবি যেখানে জামায়াতের বড় বড় নেতাদের সঙ্গে তাদের নেতারা কিভাবে ঝুঁকে কথা বলছেন।
সেটির তো একটি প্রেক্ষাপট আছে-সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন, প্রেক্ষাপট থাকলে আদর্শ আর থাকল কোথায়? আজকে তো আদর্শের কথা হচ্ছে। তখন তো জামায়াত মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ছিল না। এখন কি নতুন করে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী হয়ে গেছে? সঙ্গে থাকলে সঙ্গী আর সঙ্গে না থাকলে জঙ্গি, এই হল আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের বিশ্লেষকদের মতামত।
সঞ্চালকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি আমাকে সেই গ্যারান্টি দিন তো, আজকে বিএনপি যদি জামায়াত ছেড়ে দেয় কালকে আওয়ামী লীগ জামায়াতকে কোলে তুলে নেবে না? কারণ আওয়ামী লীগকে আমরা হেফাজতের সঙ্গে রাজনীতি করতে দেখেছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াতের ২-৩ ভাগ ভোট আছে। এখানে আদর্শের কোন ব্যাপার নয়, পুরোপুরি ভোটের হিসাব-নিকাশ করেই জামায়াতকে নিয়ে বিএনপির জোট করা।
তবে বিএনপি নেত্রী হয়েও তিনি কেন নিজেদের জোটসঙ্গী জামাতের নিষেধাজ্ঞা কামনা করছেন তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করছেন অনেকেই। বিএনপি নেতারাও রুমিনের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।