গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, নতুন ঢাকায় যারা নিয়ম না মেনে বিল্ডিং নির্মাণ করেছেন, তাদের অনিয়মের বিল্ডিংগুলো ভেঙে ফেলতে হবে। রাজউককে নির্দেশ দিয়েছি, বলেছি একটা বাড়িও ড্রপ হবে না। যদি কোনো মন্ত্রী-এমপির বাড়িও হয়, আমার নিজের কোনো আত্মীয়-স্বজনও হয়, ড্রপ হবে না।
মন্ত্রী এমনও জানিয়ে দিলেন, তদবিরে তিনি টলেন না। ওপরে আল্লাহ আর নিচে শেখ হাসিনা। মাঝামাঝি আর কেউ নেই যার কথা তাকে রাখতে হবে।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে গণপূর্তমন্ত্রীর এমন বক্তব্য আসে।
মন্ত্রী বলেন, ‘গণপূর্তের একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, সে নাকি এত প্রভাবশালী যে তাকে ছোঁয়া কারো পক্ষে সম্ভব না। শুনলাম সে নাকি সমিতি করে, আমার দল করে, সাংঘাতিক পাওয়ারফুল অ্যাসোসিয়েশনের নেতা। অপরাধের খতিয়ান খুঁজলাম, দেখলাম সে সাংঘাতিক বেপরোয়া।’
‘তারে বদলির জন্য একটা মানসিক আগ্রহ নিলাম, সে তদবির করালো বড় বড় জায়গা থেকে। ভাবলাম এত তদবির যখন, তখন তার বিরুদ্ধে আন্তরিক হওয়া উচিত, তাকে আমি পার্বত্য চট্টগ্রামে পোস্টিং দিয়েছি। কোনো তদবির তাকে ঠেকাতে পারেনি। আমরা চাই সকলে মিলে ভালো কিছু করতে। আমি নিজে একটা ওয়াদা করেছি, উপরে আল্লাহ, নিচে শেখ হাসিনা; মাঝখানে আমার কোনো তদবির নেই।’
তবে রাজধানীতে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা রাতারাতি উচ্ছেদ করা সম্ভব না বলেই মনে করেন পূর্তমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাতারাতি সব উচ্ছেদ করতে পারব না। কিন্তু আমি যদি টেন পারসেন্ট দুর্নীতিকেও স্টপ করতে পারি, আমি মনে করব আমি কিছু পারছি।”
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হয়েই মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন রেজাউল করিম। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী দায়িত্ব পেয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের। আর ঘোষণা দিয়েছেন, রাজউকসহ তার অধীনে থাকা সংস্থার অচলায়তন ভাঙার।
নিজ দপ্তরের অপরাধ, অনিয়ম বা দুর্নীতির বিষয়ে সংবাদ দেখতে চান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই বলেন, তাদের বিরুদ্ধে যেন নিউজ না হয়, কিন্তু আমি বলি উল্টোটা। আমি ভিন্ন স্রোতে চলতে চাই। আমিসহ আমার অধীন ১২টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছু নিউজ না করলে, কোনও খবর তো পাব না। অ্যাকশন নিতে হলে খবর পাওয়া দরকার।’ তবে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে কারও মানহানি না করার আহ্বান জানান তিনি।
অনিয়মের খবর কোনো গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তার তদন্ত করা হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নিউজের উপর ভর করেই ১২টি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।’