বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট মামলার সংখ্যা ৩৬। এর মধ্যে ৩৪টিতেই জামিনে আছেন তিনি। দলীয় আইনজীবীরা জানিয়েছেন বাকি দুইটি মামলায় জামিন পেলেই কারামুক্তি মিলবে খালেদা জিয়ার। তবে এই দুই মামলাতেই খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত। দুইটি মামলায় মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কারাভোগরত খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি কারাবন্দি রয়েছেন।
৩৪টি মামলার মধ্যে ২১টি বর্তমানে স্থগিত রয়েছে, আর ১৩টি বিচারাধীন। এরমধ্যে গত মঙ্গলবার মানহানির দুই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পান খালেদা জিয়া। মানহানির এই দুই মামলার শুনানিতে আদালতে বিরোধিতা করেননি রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গেলো সপ্তাহে কয়েকটি অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আদালত যদি নির্দেশ দেয় তিনি জেলের বাইরে থাকবেন, সেখানে সরকারের কোনো বাধা থাকতে পারে না।
রাষ্ট্রপক্ষের নমনীয়তায় খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সুবাতাস বইছে বলে মনে করেন তার আইনজীবীরা। খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদিন বলেন, আদালত কখনো কোনো আসামিকে কারাগারে রাখেন না। বেগম খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ার জন্য যে সকল তথ্য দরকার সবগুলোই রয়েছে। তাই একজন আইনজীবী হিসেবে মনে করি আইনগতভাবেই তার জামিন পাওয়ার এখতিয়ার রয়েছে।
জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলার রায়ের নথি বিচারিক আদালত থেকে হাইকোর্টে পৌঁছেছে। রোববার খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করবেন। এই মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাও জামিন আবেদন করার কথা জানান, খালেদা জিয়ার আইনজীবী।
সূত্র: জাগরন।