সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান ধানের শীষের মনোনয়ন নিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে গিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম। শুক্রবার সকালে মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সংক্রান্ত নানা দিক তুলে ধরে মাদারীপুরের নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন তিনি।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত মাসে আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সভা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে যারা নৌকা নিয়ে এমপি মন্ত্রী হয়েছেন তারা যদি নৌকার বিরোধীতা করেন তারা আর জীবনেও কোনোদিন নৌকা মার্কা পাবে না। এবার সদর উপজেলায় নৌকার বিরোধীতা করায় চিরদিনের জন্য নৌকা বঞ্চিত হলেন শাজাহান খান। জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা আমার নৌকায় চড়ে নৌকার বিরোধীতা করে তাদের আর কোনদিন নৌকায় জায়গা দেব না।’
আওয়ামী লীগের এ সাংগঠনিক সম্পাদক শাজাহান খানের সমলোচনা করে আরো বলেন, ‘শাজাহান খান এখন নৌকা ছেড়ে আনারস ধরেছে। প্রয়োজনে তিনি নৌকা করেন। স্বার্থে না লাগলে নৌকা ভুলে যান।’
২০০১ সালে শেখ হাসিনা মাদারীপুর-২ আসনে সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন বোড তাকে মনোনয়ন দিয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিন্তু এই শাজাহান খান নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে তিনি ছুটে গেছিলেন তারেক রহমানের হাওয়া ভবনে। কোন আওয়ামী লীগ নেতা কি তারেক রহমানের হাওয়া ভবনে ছুটে যেতে পারে? কিন্তু তিনি সেখানে গিয়েছিলেন ধানের শীষের মনোনয়ন আনতে।’
সেদিন আওয়ামী লীগের দলীয় পতাকা, বঙ্গবন্ধুর ছবি, নৌকা প্রতীকে অসম্মান করেছিল এই শাজাহান খান। তিনি মন্ত্রী হয়ে কোন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশে থাকেননি। থেকেছেন তার গণবাহিনী ও জাসদের নেতাকর্মীদের নিয়েই। তিনি কখনোই আওয়ামী লীগের চেতনা ধারণ করেননি। সব সময় নৌকায় চড়ে সুবিধা নিয়ে এখন নৌকার বিরোধীতায় নেমেছেন। আজকে সময় এসেছে এই দেশ বিরোধী, চেতনা বিরোধী, আওয়ামী বিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহত করা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের নেত্রীবৃন্দ। পরে তিনি আগামী ১৮ জুন মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজল কৃষ্ণ দে’কে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার আহবান জানান।
সূত্র: ঢাকা টাইমস, আমাদের সময়