বিএনপির জন্য সংরক্ষিত আসনের একমাত্র সদস্য হিসেবে অধিবেশনে যোগ দিয়েই সংসদকে অবৈধ বলেছেন রুমিন ফারহানা।
এই সংসদের মেয়াদ যদি একদিনও না বাড়ে তিনি খুশি হবেন বলেও জানিয়েছেন। এছাড়া দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিও চেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাতে বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনেই ফ্লোর নিয়ে কথা বলেন বিএনপির এই নেত্রী। গত রবিবার তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে রুমিন বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলায় তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য তিনি আজীবন লড়াই করেছেন, জীবনে কোনো নির্বাচনে তিনি পরাজিত হননি। একজন আইনজীবী হিসেবে আমি মনে করি তার বয়স, জেন্টার ও অবস্থান বিবেচনা করে জামিন পাওয়ার যোগ্য।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সরকার দেশে আসতে দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন রুমিন। বিএনপির শীর্ষ থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েও কথা বলেন তিনি।
সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর থাকা বিরোধী দলের এই সদস্যের বক্তব্যের মধ্যেই স্পিকার তাকে বারবার ‘সময় শেষ হয়েছে’ বলে সতর্ক করেন। এক পর্যায়ে মাইক বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। স্পিকার মাইক বন্ধ করে দেয়ার পরও অনেকক্ষণ বক্তব্য দিয়ে যান রুমিন। এ সময় সংসদে হট্টগোল শুরু হয়। পরে স্পিকারের হস্তক্ষেপে সবাই শান্ত হন।
রুমিন ফারহানার বক্তব্যের পরপর এ ব্যাপারে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফ্লোর নেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি রুমিনের সমালোচনা করে বলেন, সংসদকে অবৈধ বলে তিনি দেশের ১৬ কোটি মানুষকে অপমান করেছেন। তার কিছু শব্দ ‘এক্সপাঞ্জ’ করার আবেদন করেন। পরে স্পিকার জানান, সংসদের বিধি অনুযায়ী শব্দগুলো ‘এক্সপাঞ্জ’ হবে।