ঈদের পরপরই মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। এবারের নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে’র বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের ছোট ভাই ওবায়দুর রহমান খান কালু। ফলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনগণের মনে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৮ জুন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেলুর রহমান শফিক খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে এবং স্থানীয় এমপি এবং সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের ছোট ভাই ওবায়দুর রহমান খান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে’কে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দেয়। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে স্থানীয় এমপি শাজাহান খানের কর্মীরা বিক্ষোভ করেন। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজল কৃষ্ণ দে’র বিরুদ্ধে শাজাহান খানের ছোট ভাই ওবায়দুর রহমান খানকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত দেন।
অন্যদিকে মনোননয় না পেয়ে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কাজল কৃষ্ণ দে’র পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম গ্রুপ ও শাজাহান খান গ্রুপ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে নির্বাচনের প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সাধারণ সম্পাদককে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে মনোনয়ন দিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় এমপি শাজাহান খান নিজের ছোট ভাইকে নৌকার এমপি হয়েও নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী করেছেন, যা জনগণের মাঝে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু দল ও দলের অঙ্গ সংগঠনের অধিকাংশ নেতাকর্মী দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। মাদারীপুরের মাটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। আমরা আশা করছি, নৌকার প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।
সূত্র: জাগো নিউজ