ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) এজিএস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন সাত বছরেও তৃতীয় বর্ষ উত্তীর্ণ হতে পারেননি।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষ পর্যন্ত তিনি পাঁচবার ফেল করলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের আদেশ অনুযায়ী স্নাতক পর্যায় ছয় বছরের মধ্যে শেষ করতে হবে। সে হিসেবে তিনি ছাত্রত্ব হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন।
জানা গেছে, আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল সোমবার প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় সাদ্দাম হোসেন অকৃতকার্য হয়েছেন।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ১২৪ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে ১২১ জন পরীক্ষায় পাস করেন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
প্রকাশিত ফলাফলে অকৃতকার্য হন সাদ্দাম হোসেন।
সূত্র জানিয়েছে, তৃতীয় বর্ষের মোট ছয়টি কোর্সের পরীক্ষায় সাদ্দাম হোসেন অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, ঢাবি ছাত্রলীগরে সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ২০১১-১২ সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। প্রথম বর্ষ উত্তীর্ণ হতে তিনি তিন বছর সময় নেন। অর্থাৎ ২০১২, ‘১৩, ‘১৪ সালে প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হন।
চতুর্থবারের চেষ্টায় ২০১৫ সালে প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় সাদ্দাম হোসেন উত্তীর্ণ হন।
‘১৬ সালে দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় তিনি পাস করতে পারেননি। ২০১৭ সালে দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে পাস করেন।
‘১৮ সালে তৃতীয় বর্ষে ভর্তি হন। তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা জানুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ শুরু হয়। সেই পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হন।
সব মিলিয়ে এই ছাত্রনেতা সাত বছরে তৃতীয় বর্ষ পার হতে পারেননি।
ঢাবি সিন্ডিকেটের একটি আদেশ আছে, আট বছরের বেশি কোনো শিক্ষার্থী ঢাবির নিয়মিত ছাত্র হয়েছে অধ্যয়ন করতে পারবে না।
এই আট বছরের মধ্যে ছয় বছরে স্নাতক ও দুই বছরে স্নাতকোত্তর করতে হবে।
কিন্তু সাদ্দাম হোসেন সাত বছরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকের ছাত্র রয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবির আইন বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. নাইমা হক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘এসব বিষয় আমরা বিভাগ থেকে দেখি না। এগুলো ডিন অফিস, রেজিস্ট্রার অফিস দেখে’।
উৎসঃ দেশ রূপান্তর