মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি রেমিটেন্স যোদ্ধার বাঁচার আকুতি… শেয়ার করে সাহায্যের সুযোগ করে দিন।

প্রবাস নামের রঙিন স্বপ্নটা দিনের পর দিন বাংলাদেশিদের জন্য মলিন হয়ে আসছে। জীবন যুদ্ধে নেমে দূর পরবাসে নানা হয়রানি আর দুর্ঘটনা যেন প্রবাসীদের স্বপ্নকে বিষাদে পরিণত করছে। প্রবাস নামের রঙিন স্বপ্ন বুনতে গিয়ে বিদেশের মাটিতে অনেকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দিন পার করছেন।

তাদেরই একজন মালয়েশিয়া প্রবাসী খলিলুর রহমান (৪৮)। পরবাসে জীবন-সংগ্রামে নেমে নিয়তির কাছে হার মানতে বসেছেন এই বাংলাদেশি। একটি সড়ক দুর্ঘটনায় তার জীবনের রঙিন স্বপ্নগুলো আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।

এদিকে,পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি খলিলুর রহমানের এমন অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন দেশে তার পরিবার।

মুমূর্ষু-অসহায় খলিলুর রহমানকে দেশে ফেরত পাঠাতে সরকার ও প্রবাসীদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে দেশে তার পরিবার। গত ৭ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যে সাইকেলে করে নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার পথে একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা দিলে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। আহত অবস্থায় পেনাংয়ের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে।

এরপর থেকে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। হাসাপাতালে চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী তাকে দ্রুত দেশে পাঠানোই ভালো।মালয়েশিয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নাজমুল হাসান বাবুল জানান, খলিলুর মুমূর্ষু অবস্থায় পেনাংয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি আছে।

ইতিমধ্যে তার চিকিৎসা বাবদ প্রায় ২০ হাজার রিংগিত হাসপাতালে বাকি হয়ে গেছে। দেশে ফেরত পাঠাতে প্রয়োজন আরও ১৫ হাজার রিংগিত। তার মতো দরিদ্র পরিবারের পক্ষ থেকে এই বিল পরিশোধ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে এখন দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানো প্রয়োজন।

জানা গেছে, ২০০৭ সালে কলিং ভিসায় কাজ নিয়ে মালয়েশিয়ায় আসেন খলিলুর রহমান। তার স্ত্রী ও চার মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ে এসএসসি পরিক্ষার্থী। ইতিমধ্যে তার চিকিৎসা বাবদ মোটা অংকের টাকা খরচ হয়ে গেছে।

তবে মালয়েশিয়ায় তার কোনো আত্মীয়-স্বজন না থাকার তার চিকিৎসা ও দেখাশুনা সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায় তার অসহায় পরিবার সকল হৃদয়বান প্রবাসীদের কাছে খলিলুরের জীবন বাঁচাতে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছেন।

আহত খলিলুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নবীনগর থানার গৌলতপুর নয়াহাটি এলাকার মৃত মহুরম আলীর ছেলে। তার পাসপোর্ট নং- BC 01874040। বাঁচার আকুতি জানিয়ে এই প্রবাসী সরকার এবং প্রবাসীদের সহযোগিতা চেয়েছেন।