মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীরা নতুন বেকায়দায়

মালয়েশিয়া সরকারের পুন:নিয়োগ বা বৈধকরন প্রক্রিয়ায়, বৈধতার জন্য ও ভিসা নবায়নের জন্য বাংলাদেশী শ্রমিকদের দায়িত্ব পেয়েছে মাইইজি (myeg) নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান৷ মাইইজি’র (myeg) কাছ থেকে এ দুটি সেবা নিয়েই অভিযোগ আছে শ্রমিকদের। খোদ নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানও মাইইজি’র সেবাতে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে৷

বেশিরভাগ কর্মীরই মাইইজি’র প্রতি সব থেকে বড় অভিযোগ যে,তাদের কার্যক্রম অত্যন্ত ধীরগতির৷ আবার মাইইজির মাধ্যমে ইতিমধ্যে ভিসাসহ পাসপোর্ট হাতে পেয়েছে অনেকেই, এমন তথ্যও এসেছে । তবে বেশিরভাগেরই অভিযোগ, মাইইজির ধীরগতির কারণে অনেক বাংলাদেশী কর্মী ৭/৮ মাসেও ভিসা পাচ্ছে না। এর ফলে প্রতিনিয়ত গ্রেফতার আতঙ্কসহ নানামুখী জটিলতার মধ্যে দিন পার করতে হচ্ছে তাদের।

এ প্রসঙ্গে কথা হলো মোহাম্মদ ইউসুফ নামে একজনের সাথে। ৭ মাস আগে নিবন্ধন করে এখনও পাসপোর্ট পাচ্ছে না সে৷ ইউসুফ বলে-

‘আমি অবৈধভাবে না থাকার ভয়ে দেশে ফেরত যেতে চেয়েছিলাম।পরে সরকারের দেয়া বৈধতার সুযোগ পেয়ে নিবন্ধন করেছিলাম৷কিন্তু সেই আতঙ্কে এখনও দিন গুনতে হচ্ছে৷সব টাকা পরিশোধ করার পরও ভিসা পাচ্ছি না৷’

পুনঃনিয়োগ প্রকল্পে বৈধতা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজিব, মুহিন ও মাতবরসহ অনেকেই৷ এ প্রসঙ্গে কথা হয় মিজান গ্রান্ড ইন্টারট্রেডার্স এসডিএন.বিসডি’র প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু সালেহ তনুর সাথে। তিনি বলেন-

‘মাইইজি নিবন্ধিত শ্রমিকদের ইমিগ্রেশনে আঙ্গুলের ছাপের জন্য মাসের পর মাস সময় নেয়। অনেক সময় বাড়তি অর্থ দিয়ে সিরিয়াল আগে পাওয়া যায়৷এখনও হাজার হাজার শ্রমিক আছে যারা অনেক আগে নিবন্ধন করে ইমিগ্রেশনের সিরিয়াল পাচ্ছে না। এর ফলে আমরা আমাদের শ্রমিকদের বৈধকরনের কাজ দ্রুত করতে পারছি না।’