২ বছর সতর্ক থাকতে বললেন ড. কামাল

এখন থেকে দুই বছর সবাইকে সতর্ক এবং সচেতনভাবে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

রোববার বিকেলে মতিঝিলে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিকের স্মরণসভায় তিনি এ পরামর্শ দেন।

কামাল হোসেন বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হয়েছে। দুই বছর পর স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হবে। এই দুই বছরের মধ্যে আমাদের সবাইকে সতর্কভাবে, সচেতনভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। যে সরকারই এখানে দায়িত্ব ভোগ করবে, তারা যেন সংবিধানের ভিত্তিতেই দায়িত্ব নেয়। সংবিধানে যে দায়িত্ব দেয়া আছে, তারা যেন তা পালন করে।’

তিনি বলেন, ‘আজ কোনো বিরোধের কথা বলতে চাই না, বলতে চাই ঐক্যের কথা। সেই ঐক্য হলো মানুষের অধিকারের ঐক্য। জনগণ ক্ষমতার মালিক। এটা কোনো বক্তৃতার কথা না, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা, যা সংবিধানের মাধ্যমে লিখে স্বাক্ষর করে গেছেন। যেটা জাদুঘরে রাখা আছে।’

গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘২০২১ সাল সামনে রেখে আদর্শের সমাজ, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমাজ আমরা যেন সবাই মিলে গড়ে তুলি, সে চেষ্টা করতে হব।’

তিনি বলেন, ‘সংবিধানে কি কি আছে? সংবিধানে আছে দেশে কার্যকর গণতন্ত্র থাকবে, নামকাওয়াস্তে গণতন্ত্র না। মানুষের মৌলিক অধিকার থাকবে। সবাই সমানভাবে রাষ্ট্রের মালিকানা ভোগ করতে পারবে। কারণ, দেশের মালিক জনগণ। সংবিধানে লেখা আছে, জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করতে পারবে। এটা নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকতে পারে না। কারণ, বঙ্গবন্ধু ’৭২ এর সংবিধানের মাধ্যমে বলেছেন— যারা দেশ শাসন করবে, তারা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হবেন।’

কামাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রক্রিয়াতেই গলদ আছে। নির্বাচন নিয়ে নানা বিতর্ক হচ্ছে। এমন হলে কি সমস্যার সৃষ্টি হয়, তা আমরা দেখছি।’

অনুষ্ঠানে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যে ঐক্য গড়ে তুলেছি, সেই ঐক্য হবে পরিবর্তনের ঐক্য। আমাদের রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা গণফোরাম করেছি একটা নীতিতে। এই রাজনীতি রাজচালাকির রাজনীতি নয়। এই রাজনীতি জনগণের ঐক্য, মৌলবোধের এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষার। আমরা যদি জনগণের কাছে যাই, রাজনীতি বিমুখ মানুষগুলোকে প্রকৃত রাজনীতির দিকে ফিরিয়ে আনতে পারব।’–পরিবর্তন