মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকরা বিভিন্নজনের কাছে টাকা-পাসপোর্ট দিয়ে হয়রানির শিকার

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও অদৃশ্য সংকটে আটকে আছে জনশক্তি রফতানি। বৃহৎ এ শ্রমবাজারে শুধুই আশ্বাস! দেশটির অনেক প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের চাহিদাপত্র চেয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা করলেও মিলছে শুধুই আশ্বাস। মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে জনশক্তি প্রেরণ এক প্রকার থমকে থাকায় বাস্তবে তেমন কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক ভুক্তভোগী জানান, বিভিন্নজনের কাছে টাকা, পাসপোর্ট দিয়ে তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কবে খুলবে এই বন্ধ দুয়ার তা মালয়েশিয়া সরকার ছাড়া কেউ জানে না।

তবে সম্ভাবনাময় এ শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন অফলাইন পদ্ধতি কার্যকর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম। এদিকে পাইপলাইনে আটকে থাকা ২৫ হাজার কর্মী এখনও বাংলাদেশ থেকে এসপিপিএ পদ্ধতিতে (আগের নিয়ম) আসতে পারেনি, তাদের জন্য মালয়েশিয়া সরকার দুই মাস সময় বাড়িয়ে ছিল অর্থাৎ গেল বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল।

এ বিষয়ে ম্যানপাওয়ার ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে অনেক কর্মীর ভিসা স্ট্যাম্পিং হওয়ার পরও বিএমইটি থেকে ছাড়পত্র না দেয়ার কারণে তাদের পাঠানো সম্ভব হয়নি। মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের আমলে বাংলাদেশ থেকে ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রায় আড়াই লাখ কর্মী দেশটিতে পাড়ি জমায়।

এসব শ্রমিক সে দেশে যাওয়ার একবারে শেষের দিকে মালয়েশিয়ার জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নাজিব রাজাক সরকারের দলকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে মাহাথির মোহাম্মদের সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর পরই নাজিব সরকারের আমলে শ্রমবাজারে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ উঠতে শুরু করে। এতে সিনারপ্লাক্সের তৈরি করা এসপিপিএ সিস্টেম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় মাহাথির সরকার। এ নিয়ে শ্রমবাজারে অস্থিরতা দেখা দিলেও থেমে যায়নি কূটনৈতিক তৎপরতা।