মালয়েশিয়াতে কর্মরত বাংলাদেশী ও বিদেশি শ্রমিকদের নিয়ে যা বললেন মাল‌য়ে‌শিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান

মাল‌য়ে‌শিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এম কুলাসেগারান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে,বিদেশি শ্রমিকদের আবেদন এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম যেগুলোতে অর্থ লেনদেনের বিষয় রয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণরূপে অনলাইনের আওতায় আনতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া।

তিনি বলেন, এটা করা হলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সরাসরি মধ্যস্বত্ত দের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজনীয়তা কমবে, যা দুর্নীতির অন্যতম কারণ। এবং আমার লক্ষ্য হচ্ছে এই মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা, যা বিগত সরকারের আমলে বড় ধরনের ইস্যু ছিল।

দুর্নীতি রোধে অনেক প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিদেশি শ্রমিকদের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে অনলাইনের আওতায় নিয়ে আসা। এটি করা হলে কর্মকর্তাদের শ্রমিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার তেমন প্রয়োজনীয়তা হবে না, যা দুর্নীতিরোধে সহায়ক হবে, উল্লেখ করেন কুলাসেগারান।

গত বছ‌রের ডি‌সেম্বর মা‌সে এক সংবাদ স‌ম্মেল‌নে তি‌নি ব‌লেন, বাংলা‌দে‌শি ছাড়া আর কোন দেশ থে‌কে শ্র‌মিক নি‌য়োগ স্থ‌গিত করা হয়‌নি। এবং বাংলা‌দে‌শের সা‌থে শ্রমিক নি‌য়ো‌গে পূর্বের পদ্ধ‌তি বা‌তিল ক‌রে নতুন অনলাইন ভি‌ত্তিক কার্যক্রম চালু না হওয়া পর্যন্ত এটি স্থ‌গিত থাক‌বে। তাছাড়া নতুন পদ্ধ‌তি কার্যকর হ‌তে চল‌তি বছ‌রের জুন/জুলাই মাস অথাৎ বছ‌রের মাঝামা‌ঝি যে কোন সময় হ‌তে পা‌রে। এ নি‌য়ে অবশ্য বাংলা‌দে‌শ ও মাল‌য়ে‌শিয়ার যৌথ ওয়াকিং ক‌মি‌টির ক‌য়েকবার বৈঠক অনু‌ষ্ঠিত হ‌য়ে‌ছে।

পূ‌র্বের অবস্থানের কথা স্বরন ক‌রে তিনি বলেন, “বিভিন্ন বিভাগে ২০২০ সালের মধ্যে নতুন করে প্রায় ১ মিলিয়ন শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে ভাবছি। শ্রমিক ইউনিয়নগুলো এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসব সংগঠন বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রমিকদের উপস্থাপন করে থাকে। বিশেষ করে জনকল্যাণ ও অর্থনৈতিক বিষয়ে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সূত্র ম‌তে চল‌তি বছ‌রের ম‌ধ্যে মাল‌য়ে‌শিয়া‌তে শ্র‌মিক নি‌য়োগ কার্যক্রম চালু হ‌তে পা‌রে।

‌আল আমিন হাসান, প্রবাস কথা, মাল‌য়ে‌শিয়া