নতুন কমিটিতে ড. কামালকে পাশে চান প্রধানমন্ত্রী!

আগামী বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী আওয়ামী লীগ জাকজমকপূর্ণ এবং সর্বদলীয়ভাবে উদযাপন করতে চায়। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে দলের নেতাকর্মীদের বলেছেন যে, বঙ্গবন্ধু কোন ব্যক্তির না, কোন দলের না।

সকল রাজনৈতিক দল যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বাস করে, তাদের সকলকে নিয়ে একটা উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতে চান প্রধানমন্ত্রী। এজন্য একটি সর্বদলীয় উদযাপন কমিটির কথা ভাবছে আওয়ামী লীগ।

চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ এবং টানা তৃতীয় বারের মতো সরকার গঠন করেছে দলটি। এবার আওয়ামী লীগকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে।

ড. কামাল হোসেন ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে পাকিস্তানে কারাভোগ করেছেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গেই স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রথম আইনমন্ত্রী ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীও হন। সেজন্য ড. কামাল হোসেনকে এই সর্বদলীয় কমিটিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলের মধ্যে এখন যারা বিরোধী পক্ষে আছে কিন্তু জাতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে বিশ্বাস করে, ৭৫’র ১৫ আগস্টের পর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তাদেরকে এই কমিটিতে রাখার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

এদের মধ্যে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল, সিপিবির মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জেএসডির আ স ম আব্দুর রবসহ আরও কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে বলে জানা গেছে। শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, এর বাইরে ড. আনিসুজ্জামান, রেহমান সোবহান, ড. ফরাসউদ্দিনের মতো ব্যক্তিত্ব যারা জাতির পিতার সঙ্গে কাজ করেছেন তাদেরকেও এই কমিটিতে রাখার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আওয়ামী লীগের মধ্য থেকে তোফায়েল আহমেদসহ অন্যান্য যারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন তাদেরকেও সর্বদলীয় উদযাপন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হবে বলে আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ শুধু নিজের দল নয়, দেশের সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতে চায় বলে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা জানিয়েছেন।–বাংলাদেশটুডে