মন্ত্রী থেকেও যাদের টাকায় নির্বাচন করেছিলেন সৈয়দ আশরাফ

পাঁচ বছর মন্ত্রীসভায় থাকার পর ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যখন অংশ নেন, তখন তিনি নিজের আয় থেকে নির্বাচনে এক টাকাও খরচ করতে পারেননি সৈয়দ আশরাফ।
গত পাঁচ বছরে দেশের অনেক মন্ত্রী-এমপির সম্পদ কয়েক গুণ বাড়লেও সৈয়দ আশরাফকে তার আত্মীয়-স্বজনরা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে ২৫ লাখ টাকা দেন নির্বাচনে খরচ করার জন্য। সেই টাকায় নির্বাচন করেন এবং জয়লাভ করেন তিনি।

দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জমা দেয়া তার হলফনামা থেকে নির্বাচনি খরচের এ তথ্য জানা যায়।

দশম জাতীয় নির্বাচনে আশরাফের জমা দেয়া হলফনামার ফরম-২১ থেকে জানা যায়, রাজধানীর গুলশানে পাঁচ কাঠার একটি প্লট এবং পৈতৃক সূত্রে কিশোরগঞ্জে ১টি ও ময়মনসিংহে একটি বাড়ি ছিল। আশরাফের একাদশ জাতীয় নির্বাচনে হলফনামায় জমা দেয়া ফরম ২১-এ দেখা যায়, পাঁচ বছরের ব্যবধানে এসব সম্পত্তি বাড়েনি, একই আছে।

দশম নির্বাচনের ফরম ২১ থেকে আরও জানা যায়, ২০১৩ সালে আশরাফের ব্যক্তিগত ঋণ ছিল ৯৮ লাখ টাকা। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের হলফনামা থেকে জানা যায়, তিনি এই দেনা শোধ করতে পেরেছিলেন।

নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় নির্বাচনের হলমানার ফরম-২১ থেকে আরও জানা যায়, ২০০৮ সালে তার বছরে আয় ছিল ৬৮ হাজার টাকা, ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৯০০ টাকা। ২০১৩ সালে বাৎসরিক আয় ছিল ৬ লাখ ৩৭ হাজার ২০০ টাকা এবং ব্যয় ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ১৮০ টাকা। ২০১৮ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ১০৮ টাকা আর খরচ ছিল ২৪ লাখ ১০ হাজার টাকা।